দৈনিক ভোলা সময় নিউজ।
বিশেষ প্রতিনিধি, মোঃ সাদমান সায়েম।
অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্রবাহিনী কল্যাণ সোসাইটি অসকস বাংলাদেশ ভোলা জেলা কমিটির তত্ত্বাবধানে আজ ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তাঁর পরিবারবর্গকে বিপথগামী একদল সেনা সদস্য দ্বারা সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার করেন। এই জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা কমিটির সম্মানিত সভাপতি কর্পোরাল (অব:) সাংবাদিক মোঃ নুরে আলম, উক্ত সভা পরিচালনা করেন জেলা কমিটির সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক কর্পোরাল মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির সম্মানিত উপদেষ্টা সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মোহাম্মদ রফিকুল আমীন অবসরপ্রাপ্ত, এবং বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সম্মানিত অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সার্জেন্ট মোঃ শেখ ফরিদ, জেলা কমিটির সম্মানিত ধর্মবিষয়ক সম্পাদক, এবং উক্ত সবাই জেলা কমিটির সম্মানিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তাদের বিভিন্ন অসুখ বক্তব্য তুলে ধরেন।
সভাপতি তার এক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে বলেন, যে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি যার জন্ম না হলে হয়তো বিশ্বের মানচিত্রে লাল-সবুজের পতাকা স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা হয়তো এখনো হতো না, সেই বাঙালি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে ওই বিশ্বাসঘাতক মীরজাফরের দল এরা কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য দ্বারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করে। সেই দিন জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করেই এই ঘাতকরা ক্ষান্ত হননি,এক বিপথগামী স্বৈরশাসক ইনডিমিনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার স্থগিত করে রেখেছিলেন। তাই আমি বলবো ইতিহাস তার নিজ গতিতে চলে, বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর কন্যার সরকার এসে ইনডিমিনিটি অধ্যাদেশ তুলে সেই ঘাতকদের বিচার বাংলার মাটিতে করেছেন।
জেলা সভাপতি, অসকস বাংলাদেশ ভোলা জেলা কমিটিকে সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য আগামীতে বিশ্ব মহামারী করোনাভাইরাস কমলে জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটির মিটিং দিয়ে আলোচনা করে সবাইকে সংগঠনের কাজ এবং সাংগঠনিক কাজ করার জন্য জেলায় একটি নির্ধারিত অফিসের ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। কারণ জেলা কমিটির সদস্যদের কে নিয়ে জেলার মাননীয় জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার মহোদয় সহ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গদের কাছে সাংগঠনিক কার্যক্রম সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে অবগত করাতে পারেননি বলে দুঃখ প্রকাশ করেন। কারণ সকল ব্যক্তিবর্গের সাথে সৌজন্য দেখা করতে হলে সংগঠনের প্রায় 15 20 জন সদস্যকে নিয়ে যেতে হবে তাই এই করোনাকালীন সময়ে যাওয়া অসম্ভব বিধায় আমরা যেতে পারিনি বলে তিনি সবাইকে অবগত করান। তিনি বলেন এই আঁধার কেটে যাবে এক সময় তখন নতুন লাল-সবুজের পতাকা হাতে নিয়ে আমরা নতুন উদ্দীপনায় এগিয়ে যাব অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্রবাহিনী কল্যাণ সোসাইটি অসকস বাংলাদেশ ভোলা জেলা কমিটি, সভাপতি তারেক বক্তব্যে বলেন কতিপয় কিছু বিপদগামী সদস্য জেলা কমিটিতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে অন্য একটি বিপদগামী সংগঠন করে তারা আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে চেয়েছিল, কিন্তু ইনশাল্লাহ আমি ধৈর্য ধরেছি আল্লাহর অশেষ রহমতে আমাদের মধ্যে তারা ফাটল ধরাতে পারেননি তবে সেই বিপদগামী সুবিধাবাদীরা এখন তারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন তাই সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন। পরতেক সদস্য ভাইদেরকে সংগঠনের নিয়ম তান্ত্রিক ভাবে মেনে চলার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন। এবং প্রত্যেক সদস্য ভাইদের ব্যক্তিগত পারিবারিক কোনো সমস্যা থাকলে এবং নিজেদের ছেলে মেয়ের বিবাহ অনুষ্ঠানে অবশ্যই সংগঠনের সদস্যদের কে দাওয়াত দিবেন বলে তিনি তার বক্তব্যে অনুরোধ করে বলেছেন। এতে করে সংগঠনের সকল সদস্যদের মধ্যে আন্তরিকতা ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে এবং যার যার প্রতি তার তার দায়িত্ব কর্তব্য গুলো প্রদর্শিত হবে বলে তিনি তার বক্তব্যে বলেন। পরিশেষে একতাই শক্তি একতাই বল মিলেমিশে আমরা গড়ি সুন্দর নৌ বাংলাদেশ সেই প্রত্যাশা রেখে সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে সভাপতি তার বক্তব্য শেষ করেন।