দৈনিক ভোলা সময় নিউজ।
লালমোহনে সুপারি পাড়াকে কেন্দ্র করে ৩ জনকে পিটিয়ে আহতকরার অভিযোগ
লালমোহন প্রতিনিধিঃ
ভোলা-লালমোহনে উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের শনু হাওলাদার বাড়ি জমি বিরোধ ও সুপারি পাড়াকে কেন্দ্র করে ৩ জনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের শনু হাওলাদার বাড়িতে (২৫ শে অক্টোবর সোমবার) দুপুর ১২ টায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, আবজাল হোসেন (৫৮),রানু বেগম (৫৫), রোকেয়া বেগম (৪৫)।
ভুক্তভোগী আবজাল জানান, আমি পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের শনু হাওলাদার বাড়ির মৃত সালামত ফরাজির পুত্র আমার বসতবাড়ীর পশ্চিম পাশের পৈতৃকসুত্রে ভোগ দখলীয় সুপারির বাগান থেকে সুপারি পারতে গেলে একই বাড়ির প্রতিপক্ষ গিয়াসউদ্দিন ও তার ছেলে আলামিন, ইদ্রিস গাজী, আলমগীর মাষ্টার, শেখ ফরিদ, রেনু বেগম, নারগিস বেগম সহ তার পরিবারের অজ্ঞাত নামা আরো ৪/৫ জন এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে আহত করে।
উক্ত সময়ে গিয়াসউদ্দিন গংরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লাঠিসোটা ও রড নিয়ে একত্রিত হয়ে আমার পৈতৃকসুত্রের ভোগ দখলিয় বাগান থেকে সুপারি পারতে গেলে গিয়াসউদ্দিনেন হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া জোরে আঘাত করিলে আমি মাথা সরাইয়া নিয়া উক্ত রডের আঘাত হাত দিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করিলে ডান হাতের কনুই আঙ্গুলের হাড় ভাঙ্গা ও কব্জির হারে মারাত্মক জখম করে। বাকিরা এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম করে। উক্ত সময়ে আমি চিৎকার দিলে আমাকে উদ্ধার করতে আমার স্ত্রী রোকেয়া ও বোন রানু বেগম আগাইয়া আসলে তাদেরকেও মারধোর করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাক্তক জখম করে গিয়াসউদ্দিনের ছেলে আলামিন রেনু বেগম এর পরিধানকৃত কাপড় টানা হেচরা করিয়া খুলিয়া ফেলা সহ শরীরের অশ্লীলতা ঘটানোর চেষ্টা করে। এসময় আমার সঙ্গে থাকা ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় হামলাকারীরা। উক্ত সময়ে আমাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে আগাইয়া আসিয়া আমাদেরকে উদ্ধার করে। অতঃপর আত্মীয়-স্বজনের সহায়তায় লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করেন। আমরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ গিয়াস উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।