লালমোহনে ইউপি সদস্যের সরকারি ঘর দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ টাকা চাওয়ায় পরিকল্পিত হামল
লালমোহন পতিনিধিঃ
ভোলা লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ওয়ার্ডের মেম্বার ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে সরকারি ঘর দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ এবং টাকা চাইতে গেলে’ই পরিকল্পিত ভাবে হামলা করানো হয় ৬নং ওয়ার্ডের মৌলভী বাড়ির স্থায়ী বাসিন্দা ফয়জুল্লাহর স্ত্রী রহিমা বেগম(৩৫) এর উপর।
(১২ এপ্রিল মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৬ টা ২০ মিনিটের সময় ইফতারির উদ্দেশ্যে ওজু করে ঘরে ফিরার সময় এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রহিমা বেগমের স্বামী ফয়জুল্লাহ বলেন, আমি বাড়িতে থাকি ও সাংসারিক কাজ করি আমার বাড়ির মেম্বার ওমর তালুকদার হঠাৎ করে এসে বলে আপনাকে সরকারি একটি ঘর দিব সেখানে ১০ হাজার টাকার মতো খরচ আছে। তখন আমি তাকে দশ হাজার টাকা দেই সরকারি ঘরের জন্য কিন্তু দীর্ঘদিন হওয়ার পরেও আমি তার থেকে ঘর না পাওয়ায় আমি তার থেকে আমার দেওয়া টাকা চাই। টাকা চাওয়ার পর থেকেই বিভিন্নভাবে সে আমাদের তছরুপ করিতেছে এবং আমাকেও আমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। আমি মঙ্গলবার বিকেলে মেম্বার ওমর তালুকদারের কাছে আমার টাকা চাইতে গেলে সে আমার সাথে অশ্লীলতা ভাষায় গালিগালাজ করে তখন আমি সেখান থেকে চলে আসি। সন্ধ্যার সময় ইফতারের উদ্দেশ্যে আমার স্ত্রী অজু করে ঘরে আসার সময় ওমর তালুকদার ও শোয়েব তালুকদারের নির্দেশে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক জাহাঙ্গীর, কানু বিবি, কামাল, শোয়েব তালুকদার, মঞ্জিয়া খাতুন, অলিউল্লাহ, সাফু সরদার সহ অজ্ঞাত নামা আরো ২/৩ জন একত্রিত হয়ে ধারালো দা, রামদা, লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে আমার স্ত্রী রহিমা বেগমকে পথরোধ করিয়া জাহাঙ্গির ধারালো বটি দিয়ে রহিমার মাথায় স্ব-জোরে কোপ মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। কানু বিবি ও কামাল কাঠের ভাগাও লোহার রড দিয়ে রহিমার পায়ের হাঁটুর বাটি ও হাতের কব্জি ভেঙ্গে ফেলে, ওমর তালুকদার রহিমার বুকে লাথি দেয়, তার কাপড়-চোপড় টানা হেচরা করে গুরুতর জখম সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম করে। শোয়েব তালুকদার রহিমার গলায় থাকা আট আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন যার মূল্য ৩২ হাজার ৫০০ টাকা, মঞ্জিলা খাতুন কানে থাকা ৬ আনা ওজনের স্বর্ণের ঝুমকা যাহার মূল্য ২৪ হাজার ৫০০ টাকা, অলিউল্লাহ একটি স্কিন বাটন মোবাইল ফোন যার মূল্য ১৮ হাজার টাকা এগুলো আমার স্ত্রীকে মারধর করার সময় কৌশল নিয়ে যায়। আমি তখন হাজির হাট বাজারে ছিলাম, ঘটনার সময় বাড়ির আশপাশের লোকজন টের পেয়ে ঘটনাস্থলে আসলে আমার স্ত্রীকে প্রায়ই মৃত্যুর অবস্থায় ফেলে রেখে দ্রুত চলে যায় এবং যাওয়ার সময় বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও ভবিষ্যতে ঘরের সকলকে গলা কেটে খুন করিবে বলে চলিয়া যায় এলাকাবাসীরা এই স্থান থেকে আমার স্ত্রী রহিমা বেগম কে উদ্ধার করে। ঘটনার বিষয়ে আত্মীয়-স্বজনদের জানিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করাই, বর্তমানে আমার স্ত্রীর অবস্থা খুবই গুরুতর সে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
আমি এই বিষয়ে লালমন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।