লালমোহনের গজারিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জমি বিক্রির ৫ লক্ষ্য টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার
ভোলার লালমোহন উপজেলার গজারিয়া বাজারে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মারধর ও ৫ লক্ষ্য টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার (২২ মে) আনুমানিক রাত ৮ টার দিকে গজারিয়া বাজারের মিরাজ স্টোর এর সামনে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, লালমোহন উপজেলার চর উমেদ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত মোস্তফা চৌধুরীর দ্বিতীয় ছেলে মো আলী আজগর এর সাথে একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিরাজ গংদের সাথে পূর্বে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিলো। আলী আজগর বলেন, আমার চিকিৎসার জন্য দৌতখান পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিজানুর রহমান মমিন এর কাছে ৭ শতাংশ জমি বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত হলে আমি জমি বাবদ ৫ লক্ষ টাকা বায়না নেই। সেই টাকা নিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় গজারিয়া বাজারের উত্তর মাথায় আমার সাথে পূর্বে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলা মিরাজ গংরা ওঁৎপেতে থেকে আমি বাড়ি যাওয়ার সময় আমার পথে গতিরোধ করে। কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে সাথে থাকা ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এসময় আমি তাদের কে বাধা দিলে তারা দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে আক্রমন করে এবং জীবনে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এসময় বাজারের ব্যবসায়ীরা ও স্থানীয় সাধারণ পথচারীরা তাদের কে বাধা দিলে ছিনতাইকারী মিরাজ গংরা তাদের কে ও এলোপাথাড়ি লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকে এবং বাজারে ব্যবসা করতে দিবে না বলে হুমকি দেয়। শুধু তা ই নয় কেউ যদি কোন স্বাক্ষী দেয় তাহলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় মিরাজ। উক্ত ছিনতাইয়ের এর ঘটনায় মিরাজ এর নেতৃত্বে, আলম, সবুজ, মনির, হানিফ ওরেফে ছোট মিয়া সহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জন ছিলো বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী আলী আজগর আরও বলেন, এ বিষয়ে আমি লালমোহন থানায় অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগটি দায়ের করার পর তদন্ত সাপেক্ষে আমি থানায় মামলা করতে গেলে ওসি সাহেব আমাকে বলেন, এই ধরনের মামলা আমরা থানায় নেই না। পিটাপিটি মারামারি থাকলে বলেন সেই মামলা এখানে করা হয়। এই মামলা আপনি কোর্টে গিয়ে করেন।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন এই মিরাজ বাহিনীর অত্যাচারে অত্র এলাকার সাধারণ নিরীহ মানুষ সব সময় অতংকিত ও ভীত থাকে। এই মিরাজ ও সবুজ শ্রমিক লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা এই মিরাজ বাহিনীর বিরুদ্ধে সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি।
এ অভিযোগের বিষয়ে মিরাজ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মারামারি হয়েছে এটি সত্য। কিন্তু যখন মারামারি হয়েছে তখন তিনি টাকার কথা বলেননি। এখন টাকার কথা বলছেন কেন। এ বিষয়ে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ আসছিল বিষয়টি আমরা তদন্ত করেছি। সাংবাদিকরা তার কাছে তদন্ত সাপেক্ষে কি পদক্ষেপ নিয়েছেন তা জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের ওপর চটে যান। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশ ছাড়া কোন প্রকার বক্তব্য দিবেন না বলে রুম থেকে বেরিয়ে যান।