যৌতুক লোভী স্বামী সেলিম বেপারী কর্তৃক সর্বস্বান্ত হলো পারুল বেগম
এম এন আলম।
ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার চর জহির উদ্দিনের পারুল বেগম(৪৭), পিতা জালাল আহমদ, ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। মোঃ সেলিমের(৪৮)মৃত আব্দুল হাশেম চড় জহির উদ্দিন, তজুমদ্দিন ভোলা এর সাথে পারুলের ১২ বছর আগে বিনা কাবিনে ২০০০০( বিশ হজার টাকা) দেনমোহর ধার্য করিয়া বিবাহ হয়।বিবাহের পরপরই অশান্তিতে ভোগে ভুক্তভোগী পারুল। স্বামী সেলিম সম্পর্কে তার ননদের জামাই হত, পারুলের পূর্বের মৃত স্বামীর সকল স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির সবকিছু, সেলিম ভোগ করে আসতো। সেলিম পারুল কে কাবিননামা রেজিস্ট্রির করার আশা দিয়ে ঘুরাতো। ক্রমে ক্রমে সেলিমের অত্যাচার বাড়তে থাকে। পারুলের জমানো ৭০,০০০ (অংকে) হাজার টাকা সেলিম ব্যবসার উদ্দেশ্যে নিল।গরিব ঘরের মেয়ে পারুলের এই টাকাতে সন্তুষ্ট নয় স্বামী সেলিম। সে পূর্বের স্বামী থেকে ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া দেড় লক্ষ টাকার জমি বিক্রি করে সেলিমকে দিতে বলে।এই নিয়ে আস্তে আস্তে ঝগড়া, কথা কাটাকাটি এবং মারামারি শুরু হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ০৭/০৯/২০২৩ তারিখের সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় পারুল বেগম। ভর্তি রেজিস্টার্ড নং ৩৫৭৩২/১৫০। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে তজুমদ্দিন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট আদালতে মামলা করে পারুল।মামলা সি আর নং ১১২/২০২২ (তজুঃ).
এতেও ক্ষান্ত হয়নি সেলিম, পারুলের ছেলেদের পালনকৃত (৪টি গরু)থানা পুলিশ করে নিজের করে নেওয়ার লক্ষ্যে গরুগুলো আটক করায়।
এ প্রসঙ্গে চর জহির উদ্দিন থানা তদন্ত অফিসার বলেন মহামান্য কোর্টের আদালতে আমি তাদের গরুগুলো আটক করেছি এবং কোর্ট নির্দেশ দিলে আমি আবার গরুগুলো তাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারবো।
চেয়ারম্যান সাহেবকে ফোন কলে এই বিষয়ে জানানো হলে তিনি বলেন, আমি পূর্বে এ হেন কর্মকান্ডের কথা জ্ঞাত নই। আজ যেহেতু জানতে পারছি আমি সালিশ মীমাংসা করার লক্ষ্যে দুই পক্ষকে একত্রিত করে মিল মিশ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো।
ভুক্তভোগী পারুল বেগম গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে, স্থানীয় প্রশাসনের কাছে, যৌতুকলোভী ঠকবাজ স্বামীর বিচার এবং হয়রানি মামলার মাধ্যমে গরু আটকের বিচার দাবি করেন।