মেঘনায় অবৈধ ভাবে চলছে চিংড়ি রেণু আহরণ।

0
13

মেঘনায় অবৈধ ভাবে চলছে চিংড়ি রেণু আহরণ

রুবেল আশরাফুল, চরফ্যাশন ভোলা

চরফ্যাশন মেঘনা নদীতে অভৈধ নেট পাটা দিয়ে মাছের রেনু পোনা ধরার যেন উৎসব শুরু হয়েছে। মেঘনা নদীতে প্রতিদিন ভাটা শুরু হলে এলাকার জেলে ও শিশু কিশোররা দল বেঁধে নেমে পড়ে রেনু পোনা ধারার কাজে।

সরেজমিনে উপজেলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে, প্রায় বার কিলোমিটার তীর জুড়ে খন্ড খন্ড স্থান জুড়ে রেনু সংগ্রহ করার দৃশ্য দেখা গেছে। উপজেলার বেতুয়া নতুন সুলিজ, সামরাজ নতুন গাট, সামরাজ পুরান বাজার, পাঁচ কপাট, আট কপাট, নদীর তীর জুড়ে স্রোতের বিপরীতে ছোট ছোট এলাকা নিয়ে খুঁটি পুঁতে রাখা হয়েছে। জোয়ারের সময় উজানে বাগদা চিংড়ীর পোনা ও রেণু উঠে আসে।

রেণু ধরার সময় কয়েকজন বলেন, মশারীর কাপড় দিয়ে তৈরী খুচি জালের রেনু সংগ্রহ করা হয়। রেণু সংগ্রহকালে বিভিন্ন প্রজাতির শত শত পোনা জালে ওঠে এর মধ্য থেকে খুব সুক্ষভাবে গলদা চিংড়ি রেনু সংগ্রহ করা হয়। চিংড়ি রেনু সংগ্রহকালে অন্যান্য প্রজাতির শত শত রেনু পোনা নষ্ট হয় বলে তারা স্বীকার করেন।

নদী তীরের অধিবাসীরা জানায়, খুটি গেড়ে ছোট ছোট নৌকার সাথে অবৈধ নেট জাল পেতে গলদা, হরিনা, পারশে, ভেটকি, চিতরিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেণু পোনা শিকার করা হচ্ছে। সংগ্রহকৃত রেণু পোনা বিক্রি করে থাকে এসব রেনু পোনা ক্রয় করেন এখানকার কিছু মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান (রাহুল) মানবকন্ঠ কে বলেন, বিভিন্ন মাছের পোনা সংরক্ষণে অবৈধ নেট জাল ব্যবহার করা দণ্ডনীয় অপরাধ। অবৈধভাবে নদীতে রেণু ধারার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতি দ্রুত মেঘনা নদীর এসব এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হবে এবং যাদের প্রচলনায় এসব মাছের রেনু ধরা হচ্ছে তাদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পূর্ববর্তী খবরদৈনিক ভোলা টাইমস পরিবারের সাথে এতিম হাফেজ শিশুদের সাথে এক উৎসব মুখর ইফতার।
পরবর্তী খবরঅসকস বাংলাদেশ এর ভোলা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য সহ ভোলা বাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।