
মাধবদীর পাইকারচর পুরো ইউনিয়ন পরিষদ ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তৃতীয় পর্যায়ে কাঁবিখা ও টি-আর প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ-
ক্রাইম রিপোর্টারঃ-বাহাদুর চৌধুরী,,
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং হাজী আব্দুল করিমের ছেলে বশির আহমেদ নরসিংদী জেলা প্রশাসক বরাবর ও নরসিংদী সদর প্রেসক্লাব বরাবর একটি লিখিত অভিযোগে জানান ,
নরসিংদীর মাধবদী থানার পাইকারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি আবুল হাশেম ইউনিয়ন পরিষদের প্যাইডে লিখিত ভাবে নির্ণয় প্রকল্প দিয়ে টাকা উত্তোলন করেন । ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে কাজ না করে টাকা আত্ম সাতের অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান হাজি আবুল হাসেমের বিরুদ্ধে ।
জানা যায় , ক্রমিক নং ১৯ বালাপুর আমিনের কারখানা হইতে মহিষাশুরা ইউনিয়ন পরিষদের সীমানা পর্যন্ত , মনিরের বাড়ি হইতে আউয়ালের বাড়ি হয়ে চরপাড়া ছাত্তারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুনঃ সংস্কারের জন্য দুই লাখ টাকা প্রকল্প সভাপতি ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ইয়াসমিন আক্তার উত্তোলন করে কোন কাজ না করে আত্মসাত করেছে। ক্রমিক নং ২০
প্রকল্প সভাপতি ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নাসিমা বেগম দুইলাখ টাকা
উত্তোলন করেন ।
ক্রমিক নং ২১ পুরানচর সিদ্দিকের বাড়ির রাস্তা হইতে সুরুজ মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা মেরামত প্রকল্প সভাপতি ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য এমদাদুল হক । তৃতীয় পর্যায়ের টি- আর প্রকল্পে রাস্তায় মাটি ভরাট , ক্রমিক নং ৫৬ প্রকল্পের ৫০ হাজার টাকা, ক্রমিক নং ৫৭ প্রকল্পের ৫০ হাজার টাকা , ক্রমিক নং ৫৭ প্রকল্পের ৫০ হাজার টাকা , ক্রমিক নং ৫৮ প্রকল্পের ৫০ হাজার টাকা , ক্রমিক নং ৫৯ প্রকল্পের ৫০ হাজার টাকা , ক্রমিক নং ৬০ প্রকল্পের ৫০ হাজার টাকা , ক্রমিক নং ৬৫ প্রকল্পের ৫০ হাজার টাকা , ক্রমিক নং ৬৭ প্রকল্পের ৫০ হাজার টাকা ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য শামীম ভুঁইয়া টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে
পাইকারচর ইউনিয়নের কোথাও বরাদ্ধের কোন কাজ হয়নি গত কয়েক বছরে । টি-আর ও কাঁবিখা প্রকল্পের কোন উন্নয়ন মুলক কাজ হয়নি ভেঙ্গে পড়েছে ইউনিয়নের যাতায়াতের ব্যবস্থা । এ ব্যাপারে বশির আহমেদ জানান , বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কোন উন্নয়ন দেখতে পায়নি । এ সকল প্রকল্পের কোন কাজ হয়নি। দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান ও পুরো পরিষদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা দাবি জানিয়েছেন । বিভিন্ন সরকারি অফিসে ও মিডিয়ায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ।
এ ব্যাপারে নরসিংদী সদর-১ আসনের মাননীয় এমপি এপিএস নাজমুল হক পিন্টুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন , এর সকল প্রকল্প বরাদ্ধ হয়েছে । হাসেম চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের পেডে_ কাজগুলো নিয়াছে,কাজ না করলে দুঃখ জনক।এই ব্যাপারে ২০ নং কাজের সভাপতি জানান এলাকা এ প্রকল্পর কোন কাজ হয়নি, টাকা আত্মসাৎ করেছে চেয়ারম্যান ও সচিব ।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যানের বক্তব্য নিতে অফিসে গেলে চেয়ারম্যানকে অফিসে পাওয়া যায়নি । মোবাইল ফোনে বারবার চেষ্টা করলেও মোবাইল ফোন ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাছাড়া বিভিন্ন ইউপিঃ সদস্যের সাথে আলাপ করলে তারা মুখ খুলতে রাজি না । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাইকারচর ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক সদস্য জানান , চেয়ারম্যানের কাছে আমরা জিম্মি । ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতৃবৃন্দ জানান , চেয়ারম্যান সকল উন্নয়ন মুলক কাজের সরকারি বরাদ্ধ একা একা ভোগ করেন। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কাউকে সাথে রাখেন না।
এদিকে উক্ত চেয়ারম্যানের খোঁজখবর নিতে গিয়ে বের হয়ে আসে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যাহা ইউনিয়ন পরিষদের সব ধরনের দুর্নীতি কে হার মানায়। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন,, ০১৬০১১৫৩৬৮২/০১৩১২-০০৬০৮৬.
,,,,,দ্বিতীয় পর্বে চোখ রাখুন। বিধবা ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, বয়স্ক ভাতা, অসহায় মানুষের ঘর, করোনাকালীন সরকারের অনুদান,, পারিবারিক আদালতে বিচারের নামে অসহায় মানুষকে হয়রানি।।।
