ভোলা সময় নিউজ।
বিশেষ প্রতিনিধি, মোঃ স্বাধীন
ভোলা লালমোহন উপজেলার ধলিগন নগর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের চর মোল্লাজী কাজী বাজারের মোঃ মোস্তফা মিয়ার ক্রয় কৃত জমিতে মাওলানা মোঃ বশির উদ্দিন বিভিন্ন ছলচাতুরির মাধ্যমে উক্ত জায়গায় বাসাবাড়ি করে জোর দখল করে আছেন। উনি এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যানদের দ্বারা কোন বিচার সালিশ মানছেন না, এবং মোঃ মোস্তফা মিয়ার বিরুদ্ধে পরপর ৭ টি মামলা দিয়ে তাকে নাজেহাল অপমান অপদস্ত করে ক্ষান্ত হননি।
মোঃ মোস্তফা মিয়া বলেন যে, মাওলানা মোঃ বশির উদ্দিনের সাথে আমার গত 20 22 বছর আগে খুব বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে আমরা, আমি মোঃ মোস্তফা, মাওলানা বশির উদ্দিন এবং মাওলানা ইয়াসীন, আমরা তিনজনে মোঃ ফয়েজ মিয়ার থেকে ৩৫ কড়া জমি ক্রয় করব বলে বায়না পত্র চুক্তিনামা করি। কিন্তু তখন দুঃখের বিষয় হল উক্ত বায়না করা জমিটি যখন আমরা দলিল করব বলে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, তখন আমরা জানতে পারি যে উক্ত জমির কাগজ মোতাবেক জনাব ফয়েজ মিয়া মালিকানায় নেই। কাগজপত্রে মালিকানায় আছেন মোহাম্মদ মহসিন,তাই ফয়েজ নিয়ার নামে দলিল কাগজপত্র না থাকায় আমি মোঃ মোস্তফা দলিল করা থেকে বিরত থাকি। তবে একটি কথা উল্লেখ আছে যখন আমরা বায়না পত্র করেছিলাম তখন উক্ত ফয়েজ মিয়া আমাদেরকে জমিটি মেপে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন।
পরবর্তীতে মোঃ ফয়েজ মিয়ার মাধ্যমে জমিটি যার নামে দলিল কাগজপত্র ছিল, ১/ মোঃ মহসিন এর কাছ থেকে আমি তখন, ৫৪ শতাংশ জমি সাফ কবলা করে ক্রয় করি।
এবং ২/ মোঃ মোফাজ্জল মুন্সি থেকে ১২৩ শতাংশ জমি বিক্রয় করি।
৩/মোঃ তোফাজ্জল হোসেন এর কাছ থেকে ১১২ শতাংশ জমি ক্রয় করি।
তখন আমি মোট তিনজন এর কাছ থেকে প্রায় ২৮৮-৮৯ শতাংশ জমি ক্রয় করি।
তবে আমার দুঃখের বিষয় হল প্রথম যখন আমি মাওলানা বশির আহমেদের সাথে এবং মাওলানা ইয়াসীন এর সাথে মিলে উক্ত জমি ক্রয় করার জন্য বায়না পত্র করেছিলাম মোঃ ফয়েজ মিয়ার সাথে, তখন মাওলানা বশির ও মাওলানা ইয়াসীন আমরা একই সাথে ছিলাম। যখন ফয়েজ নিয়ার জমিনের কাগজপত্র দেখাতে অনীহা প্রকাশ করাতে, মাওলানা বশির আহমেদ অন্য এক মহিলার থেকে এই জমি ক্রয় করছে বলে একটি দলিল উপস্থাপন করেন। তবে প্রকাশ রহিলো উক্ত মহিলা এই দখলকৃত জমিনের কোন অংশীদার বা ওয়ারিশ নয়। তথাপিও মহিলা দেওয়া জমিনে দখলকৃত জমিনের কোন দাগ নাম্বার খতিয়ান নাম্বার মিল নেই।
এখন আপনাদের সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমি সারা দেশবাসীকে জানিয়ে বলছি যে এই মাওলানা সাহেব এই পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ৭ টি মামলা দিয়েছেন। এর একটি গত ২ জুন তারিখে অামি হাজিরা দিয়েছিলাম, এই মামলাটি এই নিয়ে দুইটি হাজিরা দিয়েছি, কিন্তু উনি মাওলানা বশির সাহেব কোর্টে যাননী হাজিরা ও দেননি। এইভাবে উনি আমাকে আমার লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করিয়েছেন আমাকে সমাজের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করছেন।
উনি এক মাদ্রাসার শিক্ষক সেই সুবাদে উনি উক্ত এলাকায় তার মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে নিয়ে প্রভাব খাটিয়ে চলেন, তাই আমি এর সঠিক তদন্ত করে আমি যদি প্রকৃত জমি পাই তাহলে আমাকে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য এবং এই ভন্ড প্রতারক এর হাত হইতে আমার জমি মুক্ত করার জন্য আইন প্রশাসনের কাছে বিনীত ভাবে জোর দাবি জানাচ্ছি।