দৈনিক ভোলা সময় নিউজ।
এম এন আলম।
ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নে আজ ২৮/১০/২০২১ ইংরেজি তারিখ বেলা ১২০০ ঘটিকায় ইউনিয়নের সচিব মোঃ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এর তত্ত্বাবধানে জেলেদের জন্য নির্ধারিত ২০ কেজি করে চাল জেলেদের কম দিয়ে তারা লোকদের মাধ্যমে বাখি চাল নিয়ে যাচ্ছেন।
ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত হয়ে উক্ত ঘটনার চিত্র আমি ক্যামেরায় ধারণ করি এবং সচিব সাহেবকে জিজ্ঞাসা করি যে এগুলো কিসের চাউল। সচিব সাহেব আমাকে উত্তর দেন যে জেলেদের জন্য অভিযানকালে প্রত্যেক জেলেদেরকে ২০ কেজি করে সরকার চাউল দিয়েছেন, আমরা কিছু জেলেদেরকে চাল দিতে পারিনি তাই সেই উদ্বৃত্ত চালগুলো এখন আমরা নিয়ে যাচ্ছি এবং কিছু গরীবদের মাঝে বিতরন করছি।
আমার প্রশ্ন ছিল যে,এই চালগুলো সরকার জেলেদের জন্য নির্ধারিত করে দিয়ে দিয়েছেন সে চাল কিভাবে জেলেদেরকে না দিয়ে আপনারা নিয়ে যান? সচিব সাহেব আমাকে বলছেন চেয়ারম্যান সাহেবের নির্দেশে আমি এগুলো করছি!
এরপর আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে ফোন দিলে উনি আমার সাথে চাউল সম্পর্কে সঠিক জবাব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। কারণ গত ০৪/১০ থেকে ২৪/১০/২১ পর্যন্ত এই ২০ দিন নদীতে মাছ ধরা নিষেধ ছিল। এই মাছ ধরা নিষেধ কালীন সময়ে জেলেদেরকে সরকার চাউল দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করছেন কিন্তু দুঃখের বিষয় হল আজ ২৮/১০/২১ তারিখ এসেও আপনারা জেলেদেরকে সেই চাউল দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, এইভাবে চলতে থাকলে সরকারের আর কিছুই করার থাকবে না। জনপ্রতিনিধিরা সরকারকে সহযোগিতা না করে সরকারি সম্পদ তসরুপ করছেন। এই বিষয়ে আমি ভোলা জেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ জামাল তার কাছে এই বিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম যে রাজাপুর ইউনিয়নের সকল কার্ডদারি জেলে তার প্রাপ্য চাউল পেয়েছেন? উনি আমাকে জানিয়েছেন যে চেয়ারম্যান সাহেব তাদেরকে প্রতিবেদন দিয়েছেন সকল জেলেদেরকে চাল দেওয়া হয়েছে। তাহলে আমার প্রশ্ন সবাইকে চাল দেওয়া হলে এখন এই উদ্বৃত্ত চাঁদ কোথায় থেকে এলো?এই চাউলের বিষয়ে মোঃ কামাল হোসেন নামের এক জেলে আমাকে বলেছেন এই ইউনিয়নে তারা সঠিক জেলের কাজ করে তাদেরকে চেয়ারম্যান চাউল দেননি, উনি চাল দেন উনার নিজের লোকদের কে, তাই উক্ত এলাকার জেলেদের দাবি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তদন্ত সাপেক্ষে উক্ত বিষয়ে সঠিক জেলেরা যেন আগামীতে তাদের প্রাপ্যটুকু পান সেটা নিশ্চিত করার জন্য তাদের দাবি।