ভোলা ডিসি অফিসের চাকুরীজীবী আরিফ এর ভয়ে নিজ বাড়ীর ফয়েজ ও তাঁর পরিবারবর্গ আতঙ্কে দিন কাটছে।
এম এন আলম,
ভোলা ডিসি অফিসের চাকুরীজীবী জামিরতা কেয়ামুদ্দিন বেপারি বাড়ির মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ আরিফুল হক এর ভয়ে আতঙ্কে একই বাড়ির মোঃ সামসুদ্দিন বেপারী, এর ছেলে মোঃ ফয়েজ ও তাঁর পরিবারবর্গ ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বলে আজ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশ করেন।
লিখিত বক্তব্যে মোঃ ফয়েজ এর স্ত্রী বলেন যে আমার স্বামী মোঃ ফয়েজ বেপারী, পিতাঃ মোঃ শামসুদ্দীন বেপারী, কেয়ামুদ্দিন বেপারি বাড়ি ৭ নং ওয়ার্ড জামিরতা বাপ্তা ইউনিয়ন ভোলা।
আমার স্বামী একজন অসহায় পড়ালেখা করেন নি দিনমজুরি কাজ করেন, আমার স্বামীর বাপ দাদার সম্পত্তি আমার শ্বশুর আমার স্বামীকে আমাদের বাড়ির দক্ষিণ পাশে রাস্তার পাশ দিয়ে কিছু জমি হেবা দলিলের মাধ্যমে প্রদান করেন।
সেই জমিতে গত ০১/০৪/২২ তারিখে আমাদের ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ হারুন মিজীকে ও চকিদার মোঃ নান্নু সহ এবং আমাদের বাড়ির জসিম পাটাওয়ারী সবাই মিলে আমিন এর মাধ্যমে মেপে আমার জমিনের সীমানা নির্ধারণ করে দেন।
সেই মোতাবেক গতকাল ০২/০৪/২২ তারিখ রোজ শনিবারে আমি রাজমেস্তুরি নিয়ে আমার জায়গায় একটি ঘর তৈরি করব এবং বাকি জায়গাতে বাউন্ডারি ওয়াল টানবো বিদায় রাজমিস্ত্রি নেই, রাজমিস্ত্রিরা সকাল থেকে আমার জায়গায় বাউন্ডারি ওয়ালের কাজ করলে দুপুরের দিকে আমি সহ আমার রাজমিস্ত্রিরা খাবারের জন্য গেলে মোঃ আরিফুল ও তার ভাই মো: এরশাদ, আমাদের বাড়ির দোকানদার মোঃ মোসলেহ উদ্দিন মিয়া সহ আরো চারটি মোটর সাইকেলে অপরিচিত ৭-৮ জন লোক এনে লাঠিসোটা নিয়ে দুপুরবেলা অতর্কিত আমার ওই বাউন্ডারি ওয়ালে ভিতর আঘাত করে ওরা বাউন্ডারি ওয়াল টি অর্ধেক ভেঙ্গে ফেলে এলোমেলো করে ফেলে দেয়।
এবং ডাক চিৎকার গালিগালাজ করে আমার বাড়িতে আমার দিকে লাঠি নিয়ে তেড়ে আসে, তখন আমি সামনের দিকে যেতে চাইলে আমার স্ত্রী ও ছোট বাচ্চারা আমাকে ধরে রাখেন।
পরবর্তীতে আমি অন্য লোকজনের মারফতে জানতে পারি যে আমার জায়গার বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গে ইট সিমেন্ট গুলো তসরুপ করেছে আমি এই বিষয় নিয়ে একটু ঘর থেকে বেরিয়ে সামনে আসলে ওরা আবার ও লাঠিসোটা নিয়ে আমার দিকে দৌড়ে আসে এবং আমাকে বাড়িতে থাকতে দিবে না বলে কঠোর হুমকি দেয়।
এই বিষয়টি নিয়ে আমি আমাদের ওয়ার্ডের মেম্বার মো:হারুন মিজীকে এবং আমাদের বাড়ির জসিম পাটোয়ারী সহ মুরুব্বীদের কে জানাই,
মেম্বার সাহেব বলেন যে যেখানে আমি কাগজ দেখে জসিম পাটোয়ারী সহকারে আমিন নিয়ে জমির সীমানা নির্ধারণ করে পিলার গেড়ে এসেছি, সেইখানে আরিফুল এর তো কিছু নেই সে এইভাবে মাস্তানি করে কেন?
মেম্বার বলে আরিফুল এর কি এইখানে কোন জমি আছে? তখন আমি মেম্বার কে বলি আরিফুল হক দের এখানে কোনো জমি নেই!
আমার জমিন থেকে আরও এক ফ্লোট পরে তাদের কিছু জমি ছিল তাও তারা সেটা অনেক আগেই বিক্রি করে চলে এসেছে।
ফয়েজ তার অভিযোগে বলেন আরিফুল হক ও এরশাদ সব সময় আমাদেরকে কোণঠাসা করে রাখে, এরা সব সময় কোন বিষয় নিয়ে আমাকে নরম পেলেই মারতে আসে আমি আমার এই বিষয়ে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই। আরিফ ও তার ভাই এরশাদ কেন আমার বাউন্ডারি ওয়াল ভাঙলো তারা কি আমার পাশে জমি পাবে? তাদের সাথে তো আমার কোনো বিরোধ নেই তারা চাকরি করে বিদায় এত ক্ষমতা কেন?
তাই আরিফুল হক বলেন আমার উক্ত বিষয়টি তদন্ত করে মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয় সুষ্ঠু বিচার করে দিবেন বলে আমি আশাবাদী।
আমি এবং আমার ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে শঙ্কিত অবস্থায় আছি, আমার বাবা খুবই অসুস্থ চলাফেরা করতে পারেন না এরমধ্যে এরা আমাদের উপরে অন্যায় অবিচার জুলুম করছে।
ফয়েজের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মুঠোফোনে আরিফুল হকের সাথে ফোনে কথা হয়েছিল নিউজ প্রতিবেদক এর, আরিফুল হকের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে ফয়েজের বাউন্ডারি ওয়াল কেন ভেঙেছেন? আরিফুল হক বলেন আমার জমিনের পাশে আমাকে না জানিয়ে কেন বাউন্ডারি ওয়াল তুলছে? তখন আরিফুল হকের কাছে জানতে চাওয়া হয় আপনার জমিন সেইখানে কোথায় কোনটা? উনি উত্তরে বলেন আমি আমার আগের যে জমিটা বিক্রি করে দিয়েছি সেই জমিটা আমি আবার ক্রয় করব বলে কথা হচ্ছে! তখন তার কাছে প্রশ্ন ছিল ফয়েজের জমির সীমানার পাশে কি আপনার আগের সেই জমিটা? তখন উনি উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছেন উনি বলছেন আপনি সাংবাদিক এত কথা বলেন কেন আপনাদের মত সাংবাদিককে চিনি আপনাদের বিরুদ্ধে শতশত চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে!
তাই বিষয়টি সভ্য জাতি সভ্য সমাজ গড়ার লক্ষ্যে এবং এই সমাজের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয় ভোলা ও মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে আবেদন দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।