দৈনিক ভোলা সময় নিউজ।
বিশেষ প্রতিনিধি,
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের বর্তমানে ভোলা জেলা শাখার কার্যক্রমে নেই কোনো গতিশীলতা। গত দু’দশক ধরেই নতুন কোনো কার্যকরী কমিটির দেখা পাননি জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা৷
জানা যায়, দীর্ঘ ১৮ বছর পর ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর তৎকালীন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর নেতৃত্বে ভোলার সরকারি স্কুল মাঠে ভোলা জেলা যুবলীগের সম্মেলনে’ দেড়যুগের মতো সময় দায়িত্বে থাকা ভোলার পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান মনিরকে পুনরায় সভাপতি এবং আতিকুল ইসলামকে নতুন সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করে কমিটি গঠন করা হয়। তার সপ্তাহখানেক না পেরোতেই ঘোষিত সেই কমিটির প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি প্রার্থী মোস্তাক আহমেদ শাহিনের দেয়া অপতৎপরতা ও বিশৃঙ্খলতার অভিযোগে দলের হাইকমান্ড থেকে বিশেষ নির্দেশে ভোলা জেলা যুবলীগের কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
এদিকে স্থগিত কমিটির নিষ্ক্রিয়তার মধ্য দিয়েই ৫ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পথে; একই সময়ে সংগত কারণেই পরিবর্তন আসেনি ভোলার অন্যান্য উপজেলা এবং থানা পর্যায়ের যুবলীগের কমিটিগুলোতে। কিন্তু ততদিনে পরিবর্তন দেখেছে কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতৃত্বেও। যুবলীগের বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরস ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম নিখিলের নেতৃত্বে নতুনভাবে যুবলীগকে সাজানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিলো।
সে প্রেক্ষিতে, করোনা মহামারীর কারণে যুবলীগ তার দলীয় কর্মসূচীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও, গত পহেলা সেপ্টেম্বর ২০২১ এ কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নতুন কমিটি গঠন ও বিলুপ্তি করা যাবেনা সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রত্যাহার এবং মহানগর ও জেলায় নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ে প্রস্তাবিত কমিটির নেতাকর্মীদের জীবন বৃত্তান্ত নির্দিষ্ট নিয়মে কেন্দ্রে জমা দেয়ার কথা উল্লেখ করেন।
দীর্ঘদিন ধরে নিস্ক্রিয় থাকায়’ জেলা যুবলীগের নতুন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে পদবঞ্চিত নেতাদের মধ্যে আশাব্যঞ্জক মনোভুতি দেখা গেছে।
এই মূহুর্তে’ কাউন্সিলকে ঘিরে নেতাকর্মীদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা ভোলা জেলা ছাত্রলীগের দীর্ঘকালীন সময়ের সাবেক সভাপতি ও জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পোড় খাওয়া বারবার জেল-জুলুম-নির্যাতন সহ করা জনপ্রিয় যুবনেতা মোস্তাক আহমেদ শাহিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারন করে সাধারণ পরিবার থেকে আমার রাজনীতির হাতেখড়ি এবং দলীয় আদর্শের প্রতি আস্থা রেখে রাজপথের শ্রম আর ইন্টারগ্রেশন সেলের নির্যাতন, মামলা, হামলা কারাবরণ সহ্য করেও অবিচল ছিলাম; সুতরাং আমরাই নেতৃত্বের যোগ্য দাবীদার।
যুবলীগ নিয়ে কাজ করার প্রসঙ্গে ‘সভাপতি পদ প্রত্যাশী এই যুবনেতা আরও বলেন, ছাত্রলীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্ব সুনামের সাথে পালন করেছি। আমি দলীয় পদ’কে একটা দায়িত্ব মনে করি। যেহেতু নেতৃত্বের পুরোটা সময় মানুষের হয়ে কাজ করেছি- তাই সাধারণ মানুষ এবং যুবলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভোলায় যুগোপযোগী যুবলীগ গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাবো।
ভোলা জেলা যুবলীগের আরেক শীর্ষ নেতা, মাইনুর রহমান তুহিন মোল্লা বলেন, দীর্ঘদিন একটা স্থানে জেলা যুবলীগের রাজনীতি স্থিতিশীল থাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। যার ফলে দলের মেধাবী যুবক এবং সাবেক ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা সংগঠনে বিকশিত হতে পারেনি। তার মতে, অতি দ্রুত আদর্শবান এবং সঠিক নেতৃত্ব তৈরি না হলে জেলা যুবলীগে অসুস্থ প্রতিযোগিতা বাড়বে; এতে করে জেলা যুবলীগের চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ার শঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।