ভোলা কমিউনিটি ক্লিনিকে জ্বর সর্দি ঠান্ডা রোগীর ভিড়।

0
8

দৈনিক ভোলা সময় নিউজ।

ভোলা প্রতিনিধি, সোহেল আহমদ।

ভোলা সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কে বহিঃ বিভাগ ও জরুরী বিভাগে রোগীর ভীর কমলেও বেড়েছে গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে।
কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের সুরক্ষা পোশাক ছাড়াই ঝুঁকি নিয়েই চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে। এতে আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে ডাক্তারের সংক্রমিত হবার ঝুঁকি রয়েছে। সেরকম হলে আবার ডাক্তার থেকে ভাইরাস বিস্তার হতে পারে।মঙ্গলবার সদর উপজেলার বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ক্লিনিকেই চিকিৎসা সেবা নিতে আসা লোকজনের ভিড় ছিল লক্ষণীয়।সরজমিনে দেখা গেছে, করোনা ভাইরাস আতঙ্কে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে না যাওয়া সাধারণ সর্দি, জ্বর ও কাশি বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা এখন জীবন বাঁচাতে ভিড় করছেন গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকে। প্রতিবেশীদের ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন ভোলা সদরের
ভোলা সদরে ৪১টি ক্লিনিকের ৪০ জন সিএইচসিপি এবং পুরো জেলায় ২১৮ জন ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন বলে জানান সিএইচসিপি এসোসিয়েশন ভোলা সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম।নাগরিক অধিকার স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বর্তমান সরকার প্রতিটি ওয়ার্ডে ন্যূনতম একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন সেই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি)।করোনা ভাইরাস আতঙ্কে বড় বড় চিকিৎসকরা রোগীর শরীরের তাপমাত্রাও মাপা হচ্ছে না বলে বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা লোকজন অভিযোগ করেন। কিন্তু গ্রামীণ কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে প্রাথমিক চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত সিএইচসিপিরা। কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করেই সাধারণ মাস্ক পরেই রোগী দেখে দিচ্ছেন প্রাথমিক ওষুধ। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হলেও সেবা প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার পালন করছেন বলে দাবি সেবা প্রদানকারী কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের।পাশাপাশি অন্য রোগী আক্রান্ত হয়ে যেসব রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে তারা করোনা রোগীর ভয়ে একটু সুস্থ্য হলেই বাড়ি চলে যাচ্ছে। অনেকেই অসুস্থ্য হয়েও করোনা রোগীর ভয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসছে না।ভোলা সদরের রাজাপুরের স্বাস্থ্য সহকারী বশির আহমেদ বলেন, জ্বরের কথা শুনলে হাসপাতালের ডাক্তাররা ভয়ে রোগীর কাছে আসতে চায় না। আমরা স্থানীয় মানুষ। অধিকাংশ রোগী আমাদের প্রতিবেশী ও পরিচিত তাই মানবিক কারণে আমরা ঝুকি নিয়েই চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি।বশির আহমেদ আরো বলেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন ৬৮ জন স্বাস্থ্য সহকারী সদর উপজেলায় চিকিৎসা দিচ্ছে ।ভোলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার গোলাম রাব্বি চৌধুরী সাক্ষর বলেন,জেলার মানুষজনের করোনা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আমরা ডাক্তার নার্সরা সার্বক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি, আমরা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছি।তবে তিনি জানান, এই মুহুত্বে মানুষের সচেতনতার বিল্পন নাই।

পূর্ববর্তী খবরমানুষকে টিকা নেওয়ার পাশাপাশি মাক্স পড়তে বাধ্য করতে হবে তোফায়েল আহমেদ।
পরবর্তী খবরভোলা রাজাপুর ইউনিয়নে মাদকের বিরুদ্ধে নিউজ কড়াতে সাংবাদিক বেলাল নাফিসের উপর মাদকসেবীদের হামলা।