ভোলায় অবশেষে হাজার কৃষকের দীর্ঘদিনের কষ্ঠ লাঘব।

0
18

মোঃ রানা ইসলাম,

ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়ন এর ৯নং ওয়ার্ড সদুর চর গ্রামের পাচঁ’শ একর ফসলি জমি দীর্ঘদিন পানির নিচে থাকায় কৃষকদের কষ্টে দিন পার করতে হয়েছিল। শীত মৌসুমে ও হাটু সমান পানি থাকতো এ বিলে। বর্ষার মৌসুমে সে পানি হাটু ছেরে কোমর সমান হয়ে যেতো। আর তাতেই করে লোকালয়ে প্রবেশ করতো পানি। সেই পানিতে তলিয়ে থাকতো রান্না ঘর এবং থাকার ঘরও। পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হতেন অনেক শিশু ও বৃদ্ধরা। এবং সাপের ভয়ে রাতে ঘুমাতে পারতেনা অনেকেই। এলাকাবাসি অনেক ঘুরাঘুরি করেও সফলতা পাননি কারো কাছ থেকে।
অবশেষে এলাকাবাসির সেই কষ্ট লাঘব করার লক্ষে গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ জহুরুল ইসলাম জহির এর নির্বাচনী ইশতেহার ছিলো যে সে চেয়ারম্যান হলে প্রথমেই ৯নং ওয়ার্ডের সদুর চর গ্রামে পানিতে ডুবে থাকা জমি পানি নিষ্কাশন করে চাষাবাদ যোগ্য করে দেওয়ার। যেই কথা সেই কাজ, তিনি চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হওয়ার পর চেষ্টা করেন পানি নিষ্কাশনের জন্য।
২৯ আগস্ট সোমবার সকালে সেই কাঙ্ক্ষিত ইশতেহার বাস্তবে রুপ নিয়েছে। ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জহির নিজ হাতে পানি নিষ্কাশনের কাজ শুরু করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য আবুল কাশেম, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেউদ্দিন মাস্টার, সাধারন সম্পাদক মোঃ নিরব তালুকদার, সাবেক সভাপতি মোঃ মোস্তফা মিয়া সহ আরো অনেকে।
পানি নিষ্কাশনের কাজ শুরু হওয়া এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দ বয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী আবদুল মালেক চকিদার বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষা শেষ হচ্ছে দেখে অনেক ভালো লাগছে। আমার বাসার মধ্যে পানি থাকায় নাতি নাতনি নিয়ে খুভ ভয়ে চলাচল করতাম। এখন আর সেই ভয়টা থাকবে না। কৃষক আবদুল খালেক বলেন টানা তিনটা বছর চাষ করতে না পেরে খুব কষ্টে দিন পার করছি তবে এখন পানি নিষ্কাশন শেষ হলে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছি।
আরেক কৃষক মোঃ রুহুল আমিন বলেন আমি পানির কারনে কৃষি কাজ না করতে পেরে জমি খালি রেখেই অন্য কাজের দিকে ধাবিত হই। তবে কৃষি কাজের মতন শান্তি অন্য কিছুতে নেই। আমি আজ অনেক আনন্দিত। চেয়ারম্যান কে অনেক ধন্যবাদ সে আমাদের বিলের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেছেন।
এ বিষয়ে পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদের নবাগত চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে এই এলাকার মানুষের সাথে কথা দিয়েছি, চেয়ারম্যান হলেই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করবো। আজ আমার সেই কথা বাস্তবায়ন করলাম। কৃষকদের সাথে নিয়ে পানি নিষ্কাশন করতে পেরে আমিও অনেক খুশি। আগামীতে কৃষকরা যাতে সুন্দর ভাবে ফসর ফলাতে পারে সে বিষয়ে খোঁজ খবর রাখবো।

পূর্ববর্তী খবরভোলায় মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার।
পরবর্তী খবরলালমোহনে বিয়ের ১৭ দিন পর পরকিয়া প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা।