ভোলার পশ্চিম ইলিশা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও রাজাপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় মোট আহত-২৫

0
65

দৈনিক ভোলা সময় নিউজ।

ইকবাল হোসেন রাজু ,

ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষ পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন কর্মী-সমর্থক আহতের খবর পাওয়া গেছে।

আজ শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ইউনিয়নের বিদ্রােহী প্রার্থী গিয়াসউদ্দিনের বাসার সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ও বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানাগেছে ।
এ ঘটনায় বিদ্রোহী প্রার্থী গিয়াসউদ্দিনসহ তাঁর ১০ থেকে ১২ জন কর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছে বলে জানাগেছে ।
অন্যদিকে নৌকা প্রতীকের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জহিরুল ইসলামেরও ৮ থেকে ১০ জন কর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছএ বলে দাবি করেন তিনি।
বিদ্রোহী প্রার্থী গিয়াসউদ্দিন আহম্মেদ জানান, সকাল ১১টার দিকে তিনি তাঁর ইউনিয়নের এক জানাজা থেকে ফিরে তাঁর বাড়ির সামনের সড়কে এসে পৌঁছালে নৌকা মনোনীত প্রার্থীর কয়েকজন সমর্থক তাঁর উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
অন্যদিকে ঘটনার পাল্টা অভিযোগ করেন নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির। তিনি জানান, ঘটনার সময় তিনি তাঁর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বিছিন্ন একটি গ্রামে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় ছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি জানতে পেরেছেন তাঁর কয়েকজন সমর্থক বিদ্রোহী প্রার্থী গিয়াসউদ্দিনের বাড়ির সামনের সড়কে তাঁর নির্বাচনী পোষ্টার টাঙ্গাতে যায়। এসময় গিয়াসউদ্দিন ও তাঁর সমর্থকরা পোষ্টার টাঙ্গাতে বাঁধা দেয় এবং তাঁর সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় গিয়াসউদ্দিনের সমর্থকরা। এসময় তাঁর ৮ থেকে ১০ জন সমর্থক গুরুতর আহত হয়।

উল্লেখ্য এ ঘটনার কিছুক্ষন আগে একই উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের জনতা বাজারে পোষ্টার টাঙানোকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহী প্রার্থী রেজাউল হক মিঠু চৌধুরী ও নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক মোঃ গিয়াসউদ্দিন চৌকিদার ও আব্দুস সালাম হাওলাদার গুরুতর আহত হয়েছে। তাদেরকেও ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর উভয় ইউনিয়নে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা করা হয়েছে।
উভয় ঘটনার বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে উভয় ইউনিয়নের অবস্থা মোটামুটি শান্ত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এ ঘটনাকে কেন্দ্রকরে আজ বিকেল চারটার দিকে ভোলা সদর সার্কেল এসপি আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

পূর্ববর্তী খবরভোলায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনায় প্রতিবাদ সভা।
পরবর্তী খবরভোলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নে অগ্নিকাণ্ড।