ভোলার উপকূলের জেলেদের সুরক্ষায় চালু হচ্ছে মোবাইল নেটওয়ার্কিং।

0
5

স্টাফ রিপোর্টারঃ-

ভোলার উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেদের সুরক্ষার জন্য চালু হতে যাচ্ছে গ্লোবাল সিস্টেম অব মোবাইল নেটওয়ার্ক (জিএসএম)।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দুর্যোগের সময় সতর্কবার্তা, ঝড়ের পূর্বাভাস এবং আগাম সতর্ক করতে এ নেটওয়ার্কিং সিস্টেম চালু হতে যাচ্ছে। যারা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যান, তারা এ সুযোগ পাচ্ছেন।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভোলা জেলার সাত উপজেলার ১৬২০টি সমুদ্রগামী ট্রলারে এ সুবিধা দেওয়া হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলার ১৭০টি, দৌলতখান উপজেলার ২৫০টি, বোরহানউদ্দিন উপজেলার ১০০টি, তজুমদ্দিন উপজেলার ৩০০টি, লালমোহন উপজেলার ১৩০টি, চরফ্যাশন উপজেলার ৪০০টি এবং মনপুরা উপজেলার ৩০০টি ট্রলারে নেটওয়ার্ক সুবিধা দেওয়া হবে।
সম্প্রতি চরফ্যাশনের বেশ কিছু ট্রলারে এ সুবিধা রয়েছে। খুব শিগগির অন্য উপজেলায় এ করর্যক্রম শুরু হবে।
জানা গেছে, ১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত দুর্যোগের মৌসুম। এসময়ে নদী ও সাগর উত্তাল থাকায় জন্য ডেঞ্জার জোন বা বিপজ্জনক মৌসুম হিসেবে চিহ্নিত করেছে নৌ পরিবহন অধিদপ্তর। প্রতি বছরই এ মৌসুমে ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, সাগরে গভীর নিম্নচাপসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়। অনেক সময় দুর্যোগের সতর্কবার্তা পৌঁছায় না জেলেদের কাছে। যে কারণে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও জেলেরা নদী বা সমুদ্রে মাছ শিকারে যান। তখন ঝড়ের কবলে পড়ে তাদের প্রাণ হারাতে হয়। তাই উপকূলের সমুদ্রগামী জেলেদের সুরক্ষায় এবং তাদের কাছে সতর্কবার্তা পৌঁছাতে জিএসএম সিস্টেম চালুর উদ্যোগ নেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান, জিএসএম সিস্টেম চালু হলে আমরা জেলেদের পূর্বাভাস জানানো যাবে এবং তাদের অবস্থান নির্ণয় করা যাবে। এতে জেলেরা দুর্যোগের সময় নিরাপদে অবস্থান করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, জেলায় সমুদ্রগামী নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৬৫ হাজার। এছাড়া মেঘনা-তেঁতুলিয়ার নিবন্ধিত এক লাখ ৪৮ হাজার জেলে রয়েছেন। এর বাইরে আরও দুই লাখ জেলে সাগর ও নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

পূর্ববর্তী খবরবরগুনা’র সেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ।
পরবর্তী খবরদ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি, নূরে আলম ও আব্দুর রহিম হত্যার প্রতিবাদে ভোলা সদর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল।