ভোলায় বাস-অটোরিকশা শ্রমিকদের সংঘর্ষে সবধরনের বাস চলাচল বন্ধ।

0
5

ভোলায় বাস-অটোরিকশা শ্র বাস-অটোরিকশা শ্রমিকদের সংঘর্ষে সবধরনের বাস চলাচল বন্ধ

আশিকুর রহমান শান্ত, ভোলা

ভোলায় বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিকদের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনকে আশংকা জনক অবস্থায় বরিশাল নেওয়া হয়। দুইদিনে আগুন দেওয়া হয়েছে ৮টি সিএনজি ও ২টি বাসে। ভাঙচুর করা হয়েছে কমপক্ষে ৩৫টি সিএনজি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে উভয় পক্ষের মধ্যে আবারো ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এর আগে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ভোলা বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনালে স্ট্যান্ড দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও বাস মালিকদের মধ্যে স্ট্যান্ড নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে বিকেল থেকে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। প্রথমে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ দিয়ে শুরু হলেও পরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বাস শ্রমিক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিকরা।

এ ঘটনায় সেসময় পাঁচটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ২টি বাস পুড়ে যায়। ভাঙচুর করা হয় ৩০টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।

একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবার পরদিন সকালে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী ধাওয়া পাল্টা দেওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় নতুন করে আরো ৩টি সিএনজিতে আগুন দেওয়া হয়। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের আরো 20 জন আহত হয়।

বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান বাচ্চু মোল্লা বলেন, পৌরসভার নির্দেশ অনুযায়ী সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিকদের আমরা স্ট্যান্ড থেকে অটোরিকশা সরিয়ে নিতে বলেছি। এ কারণে তারা উত্তেজিত হয়ে আমাদের বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন বলেন, এ ঘটনা বাস মালিক সমিতির পরিকল্পিত। আগে ডিপোর সব বাস সরিয়ে নিয়ে চরফ্যাশন ও লালমোহন থেকে ভাড়াটিয়া শ্রমিক এনে ডিপোতে রাখা আমাদের অটোরিকশা গুলো ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমরা ডিপোর পাসে থাকা ফায়ার সার্ভিসকে ডাকাডাকি করলেও তারা আসেনি।

ভোলা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন চন্দ্র সরকার বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। কতজন হতাহত হয়েছে আমরা এখনো নিরূপণ করতে পারিনি। তবে আমরা উভয়পক্ষকে আলোচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছি আশা করছি আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান করতে পারব।

পূর্ববর্তী খবরভোলায় ৯ দিন পর নিখোঁজ জেলের মরদেহ উদ্ধার।
পরবর্তী খবরভোলায় বাস-অটোরিকশা শ্রমিকদের সংঘর্ষে সবধরনের বাস চলাচল বন্ধ।