ভোলা সময় নিউজ।
ভোলা প্রতিনিধি,
ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড ছোট আলগী গ্রামে জমিজমার নোটিশ কে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্মুখীন দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সন্ত্রাসী লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে ওই জমিতে ঘর উত্তোলনেরও করে একটি গ্রুপ।
এসময় জমির প্রকৃত মালিক আব্দুস সাত্তার জানান, ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আলগী গ্রামের জেএল ৫৭, মৌজা আলগী, এসএ খতিয়ান নং-১৯২, দাগ নং-১২২১ দাগে ৩৪ শতাংশ জমি ১৯৫৬ সালে ক্রয় করার পর থেকে ভোগ দখলে রয়েছেন। উক্ত জমিতে মালিক দাবি করে সম্প্রতি প্রতিবেশী সামছল হক পিতা: মৃত সুলতান আহমেদ ধনিয়া ইউনিয়ন পরষিদে অভিযোগ দিলে চেয়ারম্যান শালিশ বৈঠকের আয়োজন করে। একাধিক বার শালিশ বৈঠক করার পরও সামছল হক জমির মালিকানা প্রমাণ করতে পারেনি। এমতাস্থায় গত বৃহস্পতিবার ২১ জানুয়ারি ২০২১ইং তারিখে উক্ত জমিতে সামছল হক গং মাটি কেটে দখলের চেষ্টা করে। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো: এমদাদ হোসেন কবির এবং মেম্বার মো: আলমগীর ডাক্তারকে জানালে তারা মাটি কাটতে নিষেধ করেন। তখন সামছল হক গং জমিতে মাটি কাটা বন্ধ করে দেয়। এরপর হঠাৎ করে গতকাল শনিবার ৪০/৫০ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রসাী নিয়ে এলাকায় মহড়া দেয়। তারা এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে অন্যত্র বানিয়ে রাখা চালা বেড়া নিয়ে এসে মুগডাল ও সয়াবিন বোনা চাষের জমিতে ঘর তুলে জবর দখলের চেষ্টা চালায়। তাৎক্ষণিক সংবাদ পেয়ে আব্দুস সাত্তার ভোলা থানায় দরখাস্ত দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ আসার সংবাদ পেয়ে সন্ত্রাসীরা সটকে পড়ে। এ সময় পুলিশ ঘর তোলার কাজ বন্ধ করে দিয়ে উভয় পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে স্থানীয় মেম্বারের মধ্যস্থতায় শালিস বৈঠকে বসে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের পরামর্শ দেয়।
এবিষয়ে ধনিয়া ৮নং ওয়ার্ডের স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: আলমগীর ডাক্তার জানান, সামছল হক ও তার ছেলেরা দুষ্ঠ, সন্ত্রাসী এবং দাঙ্গাবাজ স্বভাবের। ইউনিয়ন পরিষদের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তারা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অন্যের জমি জবর দখলের চেষ্টা করেছিল। তারা চেয়ারম্যান মেম্বার কিংবা শালিস বিচার মানে না। পুলিশ নিয়ে তাদের অপকর্ম বন্ধ করতে হয়েছে।
ধনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: এমদাদ হোসেন কবির জানান, ২০১৫ সালের অন্য পক্ষের এক শালিস বৈঠকে দেখা যায় সামছল হক গং উক্ত ১২২১ দাগে সাড়ে ৬ শতাংশ জমি পাওনাদার হয়। তখন আপোস ও শান্তিরক্ষার্থে সামছল হক গংদেরকে সেখানে ৯ শতাংশ জমি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয় এবং তা রোয়েদাদ করে মেপে বুঝিয়ে দেয়া হয়। উক্ত সিদ্ধান্তের দীর্ঘ দিন পর হঠাত করে অতি সম্প্রতি সামছল হক গ্রুপ সেখানে আরও জমি দাবি করে অহেতুক ঝামেলার সৃষ্টি করলে উভয় পক্ষকে ডেকে মিমাংসার চেষ্টা করা হয়। এমতাবস্থায় বহিরাগত লোকজন নিয়ে জবর দখলের চেষ্টা আইনত দ-নীয় অপরাধ।