ভোলায় গভীর রাতে শিক্ষকের বাগানে ঘর উত্তোলন।। ৯৯৯ এর সহযোগীতায় বন্ধ।। মামলার হুমকি
স্টাফ রিপোর্টার।
ভোলা সদর উপজেলার ২নং ইলিশা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে এক কলেজ শিক্ষকের ৬০ বছরের দখলীয় বাগান বাড়ীতে রাতের আধারে জোরপূর্বক গাছ কেটে ঘর উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ছিদ্দিক বেপারীগংদের বিরুদ্ধে।
খবর পেয়ে রাতেই ওই কলেজ শিক্ষক ৯৯৯ এর সহযোগীতায় ঘর উত্তোলনের কার্যক্রম বন্ধ করেন এবং একটি কড়াত, দা জব্দ করেন পুলিশ।
গতকাল রাতে ইলিশা দালালকান্দি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
সরজমিনে গিয়ে জানাজায় ওই এলাকার রশিদ বেপারী দীর্ঘ বছর এই জমি ভোগ দখল করে আসছেন, তিনি মারা যাওয়ার পর বর্তমানে তার ছেলে একটি কলেজের শিক্ষক মোঃ হোসাইন বাগান বাড়ীর দায়িত্বে আছেন।
হঠাৎ ৬০ বছরের দখলীয় বাগান বাড়ীতে জমি পাবে মর্মে দেনদরবার শুরু করেন ইলিশা ঘাটের মাছ ব্যবসায়ী ওয়াদ আলী বেপারীর ছেলে ছিদ্দিক ও দুলাল।
গ্রাম আদালত, ফাঁড়ি, থানায় একাদিক অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি ছিদ্দিক গংদের, বৈধ কাগজপত্র না থাকায় জমির মালিকানা হোসাইন মাষ্টারই রয়েছেন।
বৈধ ভাবে কোন উপায় না পেয়ে হঠাৎ অবৈধভাবে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে ভাড়াটিয়া বাহিনী দিয়ে রাতের আধারে দৌচলা একটি ঘর উত্তোলন করেন ছিদ্দিক গংরা।
ঘর উত্তোলনের খবর পেয়ে গভীর রাতে ৯৯৯ ফোন করে পুলিশের সহযোগীতায় কার্যক্রম বন্ধ করেন হোসাইন মাষ্টার।
এদিকে পুলিশের বাধা না শুনেই ওই ঘরে চুলা বসিয়ে রান্না করছে মহিলারা এবং রাতের আধারে এই ঘরে আগুণ দিয়ে হোসাইন মাষ্টারদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছিদ্দিক গংদের বিরুদ্ধে।
মানুষ গড়ার কারিগর হোসাইন মাষ্টার বলেন আমাদের দীর্ঘ ৬০ বছরের দখলীয় জমিতে হঠাৎ ছিদ্দিক গংরা জোরপূর্বক পেশিশক্তি ব্যবহার করে ঘর উত্তোলন করেছে আবার সেই ঘরে আগুন দিয়ে আমাদের নামে মামলার হুমকি দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন জোর করে কেউ জমি দখলে রাখতে পারে না, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, দলিলে যদি আমার জমি না থাকে আমি ছেড়ে দিবো।
অভিযুক্ত ছিদ্দিক বেপারী কে রাতের আধারে ঘর উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন কয়েকযুগ ধরে এই জমি হোসাইন মাষ্টাররা ভোগদখল করে আসছে, তাদের জনবল বেশি তাই আমরা রাতে ঘর উত্তোলন করছি।
দুলাল বেপারী বলেন ৫০ বছর ধরে রশিদ বেপারীরা এই জমি খায়, আমরা এখানে জমি পাবো তাই ঘর উত্তোলন করছি।
পুলিশের উপ পরিদর্শক ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমি বলে এসেছি ফয়সালা ছাড়া এখানে কোন কার্যক্রম হবে না।
ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ ফরিদ উদ্দিন বলেন, ৯৯৯ ফোন পেয়ে রাতে এ এসআই গুলজার ঘটনাস্থলে গেছে, সকালে আবার ছিদ্দিকুর রহমান গেছে, এখন কার্যক্রম বন্ধ আছে।