দৈনিক ভোলা সময় নিউজ।
বিশেষ প্রতিনিধি,
ভোলায় গত দুই সপ্তাহে করোনা সনাক্ত হয়েছে দ্বিগুণ। বর্তমানে সনাক্তের হার ২৪ শতাংশ। ১৫ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ৩৯৬ নমুনা পরীক্ষায় ৬১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ মাসের শুরুতে ১৪ জুন পর্যন্ত সনাক্তের হার ছিলো ১১ শতাংশ। ৩৩৬ নমুনা থেকে আক্রান্ত হয়েছে ২৯ জন।
এদিকে জেলায় ১৪ মাসে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। যাদের মধ্যে গত ৬ মাসেই ২০ জনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে বেড়েছে সনাক্ত এ পর্যন্ত জেলায় মোট সনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৫২ জন। এরমধ্যে ১৪ এপ্রিল একদিনে ৪১ জন সনাক্ত হয়। যা গত এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। অন্যদিকে একদিনে সর্বোচ্চ ৩ জনের মৃত্যু হয়।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ৩৩ টি নমুনা পরীক্ষায় ৫ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে।
এদের মধ্যে ভোলা সদরে ৩ জন, দৌলতখান ১ জন ও তজুমদ্দিনে ১ জন রয়েছে। জেলায় মোট আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছে এক হাজার ৯৮২ জন। বর্তমানে আক্রান্ত আছেন ৬০ জন। যাদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৭ জন। বুধবার (৩০ জুন) জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সুত্র জানিয়েছে, গত এক বছরে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৬ জন। যাদের মধ্যে সদরে ১৬ জন, দৌলতখানে ৩ জন, বোরহানউদ্দিনে ২ জন, লালমোহনে ৩ জন ও চরফ্যাশনে ২ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্তদের মধ্যে সদরে আক্রান্ত ১৩৯১জন। এদের মধ্যে সুস্থ্য ১৩৫৮ জন। দৌলতখানে মোট আক্রান্ত ১০০ জনের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৮০ জন। বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ২০৬ জনের মধ্য সুস্থ্য ১৯২ জন। লালমোহন উপজেলায় ১১৯ জনের মধ্যে সুস্থ্য ১১৮ জন। চরফ্যাশন উপজেলায় ১২৫ জনের মধ্যে সুস্থ্য ১২২জন। তজুমদ্দিনে আক্রান্ত ৭৭ জনের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৭০ জন এবং মনপুরা উপজেলায় ৩৪ জনের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৩৪ জন।
ভোলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সিরাজ উদ্দিন জানান, গত কয়েকদিন থেকে আক্রান্তের হার উঠা-নামা করছে, ২৪ ঘন্টায় সনাক্তের হার ১৫ শতাংশ ছিলো, এখন কিছুটা কম।তিনি বলেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে করোনা ইউনিটে ১০০ বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। করোনা ইউনিটে ৮ জন চিকিৎসক ও ৩২ জন নার্স দায়িত্বরত আছেন।
এছাড়াও ৩ টি আইসিইউ বেড ও ৩টি হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা চালু রয়েছে, করোনা সংক্রামনরোধে জেলাব্যাপী স্বাস্থ্যবিভাগ কাজ করছে বলেও জানান তিনি।