ভোলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আঁধারে বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে ঘর উত্তোলন
আশিকুর রহমান শান্ত
ভোলা প্রতিনিধি
ভোলার সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আঁধারে বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে জমি দখলের উদ্দেশ্যে জোরপূর্বক ঘর উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে মোহাম্মদ উল্লাহ ফরাজি গংদের বিরুদ্ধে।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) গভীর রাতে ধনিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে পূর্ব ধনিয়া গ্রামের গ্রামের ফরাজী বাড়ির দরজায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন জাকির, জাফর, জামাল, সামসুদ্দিন, সুরমা বেগম, তাসলিমা বেগম, শাহিনা বেগম ও রানু বিবি ও প্রায় শতাধিক বহিরাগত সন্ত্রাসী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, ধনিয়া মৌজার এসএ ৩৮৪ খতিয়ানের এসএ ৫৩২২,৫৩২৫,৫৩২৬ দাগ হালে তথা বিএস ৭৭৭ খতিয়ানের বিএস ৭০৬৮ নং দাগ বটে। এখানে মোট জমির পরিমাণ ৪০ শতাংশ। এই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ নভেম্বর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভোলা এর এমপি মামলা নং ১৫২/২৩ তে ফৌজদারি ১৪৪ ১৪৫ ধারাজারি করা হয়। আদালতের নিষেধাজ্ঞয় বলা হয় জমির কোন আকার আকৃতি পরিবর্তন করতে পারিবে না উভয়পক্ষ। অথচ গতকাল গভীর রাতে বহিরাগত সন্ত্রাসী সহ বিরোধ পূর্ণ সেই জমিতে ঘর তুলেন মুহাম্মদ উল্লাহ ফরাজি গংরা।
ভুক্তভোগীর মামলা সুত্রে জানা যায়, নিম্ন তফসিল ভূমির রেকরডিয় মালিক আব্দুর রহিমের মৃত্যুতে তার ওয়ারিস মোজাম্মেল হক ও শামসুদ্দিন আহমেদ ওয়ারিশ সূত্রের মালিক থাকিয়া ২৭-৮-১৯৯১ ইং তারিখে রেজিস্টারকৃত ৪৭০৯ নং দলিলে সৈয়দ আহমেদ ওরফে অলু মজুমদারের নিকট বিক্রি করিয়া সরজমিনে দখল অর্পণ করেন। সৈয়দ আহমেদের মৃত্যুতে তাহার ওয়ারিশগণ হইতে বিগত ৩০/৪/২০০৯ তারিখে রেজিস্টারকৃত ২২৩৬ নং দলিল মূলে মোহাম্মদ কবির আহমেদের কাছে ৪০ শতাংশ ভূমি বিক্রি করিয়া দখল অর্পণ করেন।
ভুক্তভোগী কবির আহমদ বলেন, এ জমি কিনার পর দীর্ঘ ১২ বছরের উদ্বে ভোগ দখলে থাকিয়া উক্ত জমিতে বাড়ির জন্য বাগান, গাছ গাছালি লাগিয়ে আসতেছি। দীর্ঘ সময় ধরে পূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসিতেছি। হঠাৎ করে জমির গাছ গাছালি দেখে মোহাম্মদ উল্লাহ ফরাজি গংরা আমার দখলীয় সম্পত্তি তাদের বলে দাবী করে।
ভুক্তভোগী অভিযোগ করে আরও বলেন, আদালতের স্থিতিতাদেশ অমান্য করে নিজের প্রভাব খাটিয়ে জোড় ঝুলুম ও ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে ঘর নির্মাণ করছেন মোহাম্মদ উল্লাহ ফরাজি গংরা। এ বিষয়ে আমি ভোলা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত মুহাম্মদ উল্লাহ ফরাজি গংদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, এ ঘর আমরা এক বছর আগেই উঠাইছি। নতুন কোন ঘর উঠায়নি।
এ বিষয়ে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন ফকির এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমি সংক্রান্ত এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। পরে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ভুক্তভোগীদের কে জিডি করতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে জিডি এর রেফারেন্স দিয়ে কোর্টের আদেশ ভায়োলেশনের মামলা করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।