ভোলায় অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগ

0
38

দৈনিক ভোলা সময় নিউজ।

বিশেষ প্রতিনিধি,
ভোলা সদর উপজেলা পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ইলিশা গ্রামে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ব্যবসায়ি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ইলিশা বাজার সংলগ্ন ওই শিক্ষার্থীর ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যাঁর মামলা নাম্বার-১৬/২১।
অভিযুক্ত ধর্ষক একই উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাতা গ্রামের কাশেম কারীর ছেলে আনোয়ার আব্বাস কারী। সে পেশায় ওই শিক্ষার্থীর বাবার ব্যবসায়িক ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ৮ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে হঠাৎ করে ভিক্টিমের চার বছর বয়সী ভাই অসুস্থ হয়ে পড়লে রাতেই তাকে নিয়ে মামলার বাদী ওই শিক্ষার্থীর মা ভোলা সদর হাসপাতালে চলে যান। তখন বাসায় ওই শিক্ষার্থী ও তাঁর ১০ বছর বয়সী একটি ভাই ছিলো।
সকাল ৭টায় তাঁর ছোট ভাই মাদ্রাসায় চলে গেলে সকাল ৮টায় শিক্ষার্থীর ভাড়া বাসায় প্রবেশ করেন অভিযুক্ত ধর্ষক আনোয়ার আব্বাস। বাবার ব্যবসায়ি ম্যানেজার হিসেবে আগের থেকেই অভিযুক্তকে চিনতেন ওই শিক্ষার্থী। সেই সুবাধে আনোয়ার শিক্ষার্থীর বাসায় প্রবেশ করে বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে চলে যায়।
পরে মুঠোফোনে শিক্ষার্থীর মা বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে ডাক্তারি পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়।
এদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে তা স্থানীয় পর্যায়ে মিমাংসা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন ধর্ষকের পরিবার ও স্থানীয় রনি নামে এক যুবক। তাঁরা ঘটনাটি স্থানীয় পর্যায়ে মিমাংসা করতে ভিক্টিমের পরিবারকে অনুরোধ করছেন বলেও দাবি করেন ভিক্টিমের পরিবার।
এবিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনায়েত হোসেন জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীর ডাক্তারি পরীক্ষা শেষ হয়ে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি পলাতক রয়েছে। তবে খুব শিগগিরই তাকে আটক করা হবে।

পূর্ববর্তী খবরলালমোহনে মিথ্যা মামলায় উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক শাহাবুদ্দিন কে ফাসালেন ইউপি সদস্য
পরবর্তী খবরতজুমদ্দিনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেওয়া হয়েছে১৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তদারকি করছেন নির্বাহি অফিসার