ভোলা সময় নিউজ
ভোলায় জমি জমা বিরোধে জেরে পৌর কাউন্সিলরের নেতৃত্বে হামলা,বসত বাড়ি ভাংচুর নারীসহ আহত ১০
ভোলা প্রতিনিধি।।
জমি জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে বাকলাই বাড়িতে শনিবার (১লা মে) সকালে আদালতে মামলা উপেক্ষা করে জোর জবরদখল করে জমির চারপাশে বাউন্ডারি দেওয়ার সময় বাধা প্রধান করলে পৌর কাউন্সিলর তাজউদ্দীন খানের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটে।
এতে নারীসহ ১০ জনকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। আহতরা ভোলা সদর ও বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসারত আছেন।
হামলার শিকার মোঃ বাহার বাকলাই বলেন, আমার দাদার ওয়ারিশ সম্পত্তি নিয়ে আমার চাচাতো ভাই আরাফাত হোসেন ও রিজভান হোসেন দের সাথে আমার বসত ভিটার ২৭ শতাংশ জমি নিয়ে দিঘ্যদিন বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে থানায় ও স্থানীয় ভাবে এ একাধিক সালিসি হয়েছে। এখন ও আদালতে মামলা চলমান আছে। আদালতে মামলা উপেক্ষা করে আজ সকালে আরাফাত ও রিজভান গংরা জোর পূর্বক জমির চার পাশে বাউন্ডারি নির্মান করতে যায়। তাদের বাঁধা দিলে ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল তাজউদ্দীন খানের নেতৃত্বে দেশি অস্ত্র সহ শতাধিক কেডার বাহিনী নিয়ে আমাদের উপরে হামলা চালায়। আমাদের বসত ভিটা সব ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলে। তাদের বাধ্য দিলে আমি ও মোঃ রিয়াজ উদ্দিন , জুলিয়া বেগম, হাসিনা বেগম, গুরুত্ব জখম হই এবং সজিব, ইকবাল হোসেন, সিরাজুল হক, খালেদা বেগম, মোঃ মিজান, মোঃ মিদুল, নুর-জাহানরা আহত হয়। এ সময় আমাদের সাথে থাকা ৫ টি মোবাই ফোন ও নগদ ২ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন হামলার ঘটনায় আমার ভাগনি জুলিয়া বেগম থানায় গিয়ে বিষয়টি জানায় এবং লিখিত অভিযোগ করেন। থানা পুলিশ তাকে কোন গুরুত্ব দেয়নি এবং লিখিত অভিযোগটিও গ্রহন করেনি। পরে আমার ৯৯৯ ফোন দেওয়ার বেশ কিছুক্ষন পরে ২/৩ জন পুলিশ গিয়ে ঘুরে চলে যায়।
এ দিকে অভিযুক্ত রিজভান হোসেনদের সাথে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বোরহানউদ্দিন থানর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) মাজহারুল আমিন জানান, ঘটনা শোনার সাথে সাথে স্পটে পুলিশের সদস্যরা পৌঁছে ঘটনা স্থান পরিদর্শন করে। এ বিষয়ে এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।