নিজস্ব প্রতিনিধি,
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা পক্ষিয়া ৯ নং ওয়ার্ডে ৪ সন্তানের জননী নাসরিন আক্তারে বসত বড়ীর দরজায় কলাগাছ লাগানোকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডায় হামলার আভিযোগ উঠেছে রফিক পন্ডিত ও স্থানীয় ইউপি সদস্য জহিরের বিরুদ্ধে।
সোমবার সকাল ১১ টায় বিধবার বসত বাড়ীর দরজায় রফিক পন্ডিত কলাগাছ লাগাতে আসলে বাধা দেয় নাসরিন ও তার পরিবার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রফিক পন্ডিতের নেতৃত্বে নেয়ামল পন্ডিত, জুলহাস পন্ডিত,জহির মেম্বার,শাহিন কমিশনর, শিহাব ও নসু হামলা চলিয়ে বিধবা নাসরিন ও তার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে মিশু ও মিতুকে আহতে করার আভিযোগ করেন। পরে ভিক্টিমের পরিবার ত্রিপল নাইনে কল করলে পুলিশ এসে উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করেন।
বিধবা নাসরিন আরো অভিযোগ করেন, রফিক পন্ডিত দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বাড়ী দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
জহির মেম্বার আমার বাড়ীতে বিভিন্ন সময় রাতে এসে বোতলের কাক নিয়ে কিযেন সেবন করতো। একদিন আমার বাসায় খারাপ মেয়ে নিয়ে আসার প্রস্তাব করে, আমি রাজি হইনি এবং রাত বিরাতে আমার মোবাইল ফোনে কল করে কু-প্রস্তাব দিলে তার বউকে আমি বিষয়টি জানানোর পরথেকে আমাকে এখান উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে।
এই ঘটনায় বিধবা নাসরিন থানায় মামলা দিতে চাইলেও অদৃশ্য কারনে মামলা গ্রহন না করে সাধারন ডায়েরি নেয় বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ।
অভিযুক্ত রফিক পন্ডিত জানান, আমার জায়গায় আমি কলাগাছ লাগাতে গিয়েছি, বরং তারা আমাকে ইট পাটকেল মেরেছে।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জহির জানান, মারামারি ছাড়াতে গিয়ে দুই পক্ষকে মেরেছি, কারো বেশি লেগেছে আবার কারো কম লেগেছে।
এবিষয়ে বোরহানউদ্দিন থানার (ওসি) মাজহারুল আমিন এর কাছে ফোনে বক্তব্য জানতে চাইলে, তিনি কোন জবাব না দিয়ে থানায় এসে সরাসরি বক্তব্য নেওয়ার পরামর্শ দেন।