বৃষ্টির সময় যে দোয়া পড়লে মনের আশা পুরন হয়।

0
1457

ভোলা সময় নিউজ।

ইসলামিক ডেক্স,
মহান আল্লাহ তালা পৃথিবীতে নানাবিধ আপদ-বিপদ ও মুসিবত দিয়ে বান্দাকে পরীক্ষা করেন। সব রকম বিপদ-আপদে রক্ষা পাওয়ার কলা-কৌশল, দোয়া, জিকির-আজকার কোরআন ও হাদিসে এসেছে। মেঘের গর্জন, ঝড় তুফান মহান আল্লাহ তালার মহাশক্তির এক ছোট নিদর্শন। রাসূলুল্লাহ (সা.) আল্লাহর কাছে সব বিপদে সাহায্য চাইতেন। কেননা মহান আল্লাহই মানুষের সবচেয়ে বড় আশ্রয়দাতা।

বৃষ্টি আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিনের এক নেয়ামত এবং রহমত। নবী করিম (সা.) বৃষ্টির পানি গায়ে লাগাতেন। বর্ষাকালে যখনই বৃষ্টি হবে আমরা যেন নবী করিম (সা.) এর সুন্নত থেকে বঞ্চিত না হই। অন্তত দুই এক ফোঁটা পানি হাতে নিয়ে শরীরে লাগানোর চেষ্টা করবো। ইনশাআল্লাহ! নবী করিম (সা.) এর সুন্নত পালন হয়ে যাবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রাপ্ত রহমতের বৃষ্টির আমলটিও হয়ে যাবে।

বৃষ্টির সময় যে বিশেষ দোয়া আল্লাহ তায়ালা কখনোই ফিরিয়ে দেন না। সুতরাং বৃষ্টি বা অতিবৃষ্টিকে ভয় না পেয়ে প্রত্যেক মুসলিমের উচিত এই দোয়া পড়া। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক বৃষ্টির সময় যে দোয়া পড়লে মনের আশা পূরণ হয়। দোয়াটি হলো-

اللهم شيبان نافع

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ছায়্যিবান নাফিয়া।

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! এমন বৃষ্টি আমাদের ওপর বর্ষণ করুন যাতে ঢল, ধস বা আজাবের মতো কোনো অমঙ্গল নিহিত নেই।’ (বুখারি: ১০৩২)।

যখনই বৃষ্টি শুরু হয় তখনই দোয়া করা উচিত। কারণ বৃষ্টি চলাকালীন সময়ে দোয়া কবুল হয়। এই সময় দোয়া করাও সুন্নত। বিখ্যাত হাদিস গ্রন্থ আবু দাউদ শরিফের ২৫৪০ নম্বর হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত সাহল বিন সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, দুই সময়ের দোয়া কখনো ফেরত দেয়া হয় না।

সুতরাং একজন খাঁটি মুসলিম হিসেবে আমাদের উচিত যখনই বৃষ্টি নামবে তখন কোনো প্রকারের হা-হুতাশ না করে দোয়া করা। আশা করা যায় মহান আল্লাহ এই দোয়া কবুল করবেন।

পূর্ববর্তী খবরভোলায় আবার ও শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হলেন Anayet Hosen
পরবর্তী খবরআগামী ৫ দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।