প্রবাসীদের বোকা বানিয়ে চাঁদা তুলে আত্মসাৎ করার অভিযোগ
চরফ্যাশন প্রতিনিধিঃ
সাধারণত মানুষ মানবিক কোন সংগঠনের নাম শুনলে সাপোর্ট করে যায়-যাচ্ছে এটাই উচিত। কিন্তু সেটা যদি হয় মানুষ কে বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল। এমনই অভিযোগ ভোলা জেলা প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের এক সদস্যের বিরুদ্ধে।
গত এক বছর আগে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম ডিগ্রী মহাবিদ্যালয় হলরুমে অসহায়দের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ভোলা জেলা প্রবাসী কল্যাণ সংগঠন নামের এই সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম হাওলাদার ও বিশেষ অতিথি কলেজ অধ্যক্ষ এ কে এম শাহাবুদ্দিন সহ প্রবাসীদের অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত থেকে প্রবাসী মোঃনাজিম উদ্দিন আলমকে সভাপতি ও প্রবাসী হাওলাদার সোহেল ইসলামকে সম্পাদক নির্বাচিত করেন। ভোলা জেলা প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের শুভ লগ্নে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি এবং প্রবাসীদের অভিভাবক স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ স্থানীয় সংবাদকর্মীর উপস্থিতে এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়।এসময় একজন প্রবাসীর অভিভাবক হিসেবে উপস্থিত হন জাহিদুল ইসলাম। এই সংগঠনের সবাই প্রবাসে থাকায় জাহিদুল ইসলামকে উক্ত অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব দেন সংগঠন।
এরপর ৬জন উপদেষ্টা সহ ১৪জন সদস্য নিয়ে গঠিত হয় এ সংগঠন যেখানে জাহিদুল ইসলাম কেও করা হয় সদস্য।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাজিম উদ্দিন আলম বলেন ভোলা জেলা প্রবাসী কল্যাণ সংগঠন একটি অরাজনৈতিক সংগঠন এই সংগঠনের মাধ্যমে গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করাই সংগঠনের একমাত্র লক্ষ্য। প্রবাসে থেকেও অসহায় মানুষের কথা চিন্তা কড়াই ভোলা জেলা প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য। সভাপতি নাজিম উদ্দিন মুঠোফোনে অভিযোগ করে আরো বলেন সংগঠনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান নাগরের অভিভাবক হিসেবে যোগদান করা জাহিদুল ইসলাম কিছুদিন পর কাউকে না জানিয়ে সংগঠনের নাম ব্যবহার করে চাঁদা আদায়ের রশিদ তৈরী করে কিছু প্রবাসীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করেন। সেই টাকা অসহায়দের মাঝে না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠে জাহিদুলের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে আমরা তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেই । জাহিদুল সংগঠনের এমন সিদ্ধান্তের খবর পেয়ে সংগঠনের কিছু সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করে এবং রাতারাতি নতুন কমিটি ঘোষণা করেন।
তবে এই জাহিদ আগেই তা গুছিয়ে রেখেছেন। তাকে সংগঠন থেকে বাদ দেওয়ার আগে সে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি /সম্পাদকেই বাদ দিয়ে নতুন কমিটি করেন।
জাহিদ সংগঠনের নাম দিয়ে চাঁদার রশিদ করে চাঁদা উত্তোলন করে। উত্তোলনকৃত টাকা নিজে আত্মসাৎ করে বলে অভিযোগ করে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি /সম্পাদক এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শশীভূষণ থানা ও হাজারীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেন।
প্রশ্ন হল- কি আছে সংগঠনে? আনুষ্ঠানিকভাবে এত আয়োজন করে সম্মাননা স্মারক প্রদানের মাধ্যমে সংগঠনের উদ্বোধন হওয়া সংগঠনটির একজন আমন্ত্রিত অতিথি রাতারাতি কি করে হলেন ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক।
আমাদের সাথেই থাকুন আরো বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করবো,,,,,