ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন দৃষ্টিনন্দন ভবনটির কি অপরাধ ? এই ভাবে অবহেলিতভাবে ফেলে রেখে, চেয়ারম্যানের মঙ্গল সিকদার বাজারে নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চালাচ্ছে ইউনিয়নের সরকারি নাগরিক সকল সুবিধা অধিক টাকার বিনিময়ে রমরমা ব্যবসা।
এম এন আলম
ভোলা লালমোহন উপজেলার-৩ নং ধলীগৌননগর ইউনিয়নের নতুন ইউনিয়ন ভবনটি স্থাপন করার পর থেকেই অবহেলায় রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবহার না করাতে আস্তে আস্তে সরকারের কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হওয়ার পথে দেখার যেন কোন মা-বাপ নেই।
লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের নতুন ভবনটি ১৫ ই জুলাই ২০১২ সালে ভোলা ৩ আসনের এমপি মহোদয় নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন উদ্বোধন করেন।
ভবনটি উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে একদিনের জন্যেও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহেব উক্ত ভবনে কোন অফিস-আদালত করেননি, বিষয়টি অত্র ইউনিয়নের জনগণের অভিযোগ সরকারের প্রায় (এক)কোটি টাকা খরচে এই সুন্দর ভবনটি করা হয়েছে, ইউনিয়নের জনগণের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠান কার্যক্রমের জন্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল চেয়ারম্যান সাহেব কোনদিন এই ভবনে অফিসিয়াল ইউনিয়ন পরিষদের কোন কাজের ব্যাপারে উনি আসেনি।
চেয়ারম্যান সাহেব মঙ্গল শিকদার বাজারে তার একটি নিজস্ব ঘরে উনি ইউনিয়নের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। আজ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উক্ত তাহার ব্যবসায়ী কার্যক্রমে ইউনিয়নের জনগণ সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধা অধিক টাকার বিনিময় গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছেন। সেখানে একটি স্টুডিওর মধ্যে তিনজন সহকারি উদ্যোক্তার মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন কার্ডের মহা বাণিজ্য শুরু করেছেন, প্রত্যেক ব্যক্তি থেকে 200 টাকা এবং অনেক ব্যক্তির থেকে আড়াইশো টাকা করে জন্ম নিবন্ধন কার্ড জনপ্রতি নিচ্ছেন। উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব না থাকায়,বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের সাথে ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে উনি বিষয়টি বলেন যে জন্ম নিবন্ধন কার্ড এ ২০০টাকা করে নেই,তবে সরকার যদি নির্ধারিত ৫০ টাকা ফি না নিতো তাহলে আমাদের জন্য আরো ভালো হতো, কারণ জন্ম নিবন্ধন করতে অনেক কষ্ট এবং আমার এইখানে প্রায় ৩ জন লোক আমার চালাতে হয়।
জন্ম নিবন্ধন কার্ডের বিষয় চেয়ারম্যান সাহেবকে অবগত করার জন্য এবং অধিক টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমি চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে ফোন দিয়ে কথা বলেছিলাম চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে ধমকের সুরে বলেন যে কিসের জন্ম নিবন্ধন কার্ডে বেশি টাকা নেই! তারা বেশি নেয় না। তখন আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে বলি যে আপনার উদ্যোক্তারা আমার সামনে 200 টাকা, কারো কাছ থেকে আড়াইশো টাকা করে নিয়েছেন এবং মুখে স্বীকার করেছেন আমি ভিডিও করেছি, তাহার পরে একাধিক ব্যক্তি অভিযোগগুলো আমি ভিডিও আকারে গ্রহণ করেছি, এই বিষয়টি বলার পর চেয়ারম্যান আমার সাথে ফোনের মাধ্যমে আরও ক্ষিপ্রতা ভাব নিয়ে কথাবার্তা বলেছেন! বিষয়টি খুবই দুঃখজনক তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এর দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অত্র ইউনিয়নের জনগণের দাবির সাথে আমি একমত পোষন করলাম।
কারণ যেখানে দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদ ভবনে বলেছেন জন্ম নিবন্ধন কার্ড করতে গিয়ে কোন ইউনিয়নে যদি বেশি টাকা নেন তাহলে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সচিব এবং মেম্বার চকিদার কাহারোই সরকারি চাকরি থাকবে না, এই বিষয়গুলো আমি চেয়ারম্যান সাহেব এবং সচিব সাহেবকে অবগত করার পরেও উনারা বিষয়টিকে নিয়ে কোনো কর্ণপাত করেননি।