তিন সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে ভিক্ষুক জোছনা
আশিকুর রহমান শান্ত
ভোলা প্রতিনিধি
দূর থেকে বাগানের মধ্যে দেখা যায় একটি পরিত্যক্ত ঘর। আমাদের চোখে দেখা সেই পরিত্যক্ত ঘরেও মানবেতর জীবনযাপন করেছেন ৩ টি শিশু নিয়ে এক ভিক্ষুক মহিলা। কাছে গেলে দেখা যায়, বিছানা পাতার বেরা বেষ্টিত দুই চালের একটি ঘর। ঘরে মধ্যে বসলে আকাশ দেখতে হয় না কোনো কষ্ট। যদি বেলা দুপুর কিন্তু সেই খুদে ঘরের চুলায় জলচ্ছে না আগুন।
এমন দৃশ্যের দেখা গেলো ভোলা সদর উপজেলা রাজাপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের চরমনিশা গ্রামে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ওই ঘরে বসবস করেন জোছনা (৩২) নামের এক ভিক্ষুক, তাহর স্বামী নেই। অন্যের জমিতে কোনো ভাবে একটি ঝুপরি ঘরে মনবেতর জীবনযাপন করেন তিনি। তাহার ২ টি ছেলে ও একটি মেয়ে ছাড়া এই পৃথিবীতে কোনো স্বজন নেই। নেই তাহার দুঃখের ভাগিদার হবার কেউ। সকাল হলে তিনি বেরিয়ে যান ভিক্ষা করতে। ভিক্ষা করে যা পান তাহা দিয়ে খিদা নিবেরন করেন শিশু ছেলে হাবিব (৯), আলিফ(৪) ও আলিফার(২)।
জোছনার ভিটা মাটি না থাকায় প্রতিনিয়ত সেই দুশ্চিন্তা তাকে তাড়া করে বেড়ায়। যে জমিনে তিনি বসবাস করেন, সেই জমির মালিক তাহাকে ২ বছরের জন্য থাকতে দিলেও এখন ৪ বছর চলমান। জমির মালিক জোছনা কে এখন ভিটে ছাড়তে বলেন।
ভিক্ষুক জোছনা বেগম কান্নাময় কন্ঠে বলেন, আমি অন্যে জমিতে কোনো রকম একটা ঘর বানিয়ে ৩ টা বাচ্চা নিয়ে বসবাস করি। আমার বড় ছেলে হাবিব (৯) ও অসুস্থ। ওর চোখে সমস্যা। কোলের ছোট মেয়ে আলিফাকে(২) নিয়ে গ্রাম থেকে ভিক্ষা করে আহার যোগাই। আমিও শারীরিক অসুস্থ। এখন আর ভিক্ষা করতে গ্রামে বের হতে পারি না। কেউ যদি আমাকে সাহায্য করত। সরকারি ভাবে যদি আমাকে একটা ঘর দিতো তাহলে আমার ছোট ছোট সন্তানদেরকে নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারতাম।
ভিক্ষুক জোছনা বেগমের ।