তজুমুদ্দিন চাঁদপুর ইউনিয়নের সচিব সরকারের আদেশ অমান্য করে জন্ম নিবন্ধন কার্ড নিয়ে রমরমা ব্যবসা করেন।

0
46

৩ নং চাঁদপুর ইউনিয়নের সচিব সরকারের আদেশ অমান্য করে জন্ম নিবন্ধন কার্ড নিয়ে রমরমা ব্যবসা করেন!
বিশেষ প্রতিনিধি,

ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার ৩ নং চাঁদপুর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিয়ন সচিব মোঃ আব্দুল করিম তাহার ইউনিয়নে জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর নামে রমরমা ব্যবসা শুরু করেছে।

উক্ত ইউনিয়ন সচিব প্রায় ৯ বছরের অধিক সময় উক্ত ইউনিয়নের সচিবের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। উনি দায়িত্বরত অবস্থায় এক মেয়েকে একাধিক জন্ম নিবন্ধন কার্ড অধিক টাকার বিনিময় করে দিয়েছেন, এমন একাধিক উনার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত আছে।
উনি ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন এবং মৃত্যু সার্টিফিকেট সহ সকল সরকারি নাগরিক সুবিধাদি নিজে একাই হেন্ডেলিং করে থাকেন, এখানে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তার কোন কাজই নেই।
লাভজনক সকল কাজ ইউনিয়ন সচিব সাহেব নিজেই করে থাকেন এবং জনগণ থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে থাকেন। এই সচিবের বিরুদ্ধে এর আগে কয়েকবার প্রমাণিত আছে যে উনি জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর জন্য ৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত নিয়েছিলেন।

বর্তমানে সচিব তার ইউনিয়নের জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর কাজ তাহার ছেলে এবং মেয়ের মাধ্যমে করে থাকেন।
বিশেষ করে অর্ত ইউনিয়নের বিভিন্ন জনগণ তাহার বাসায় গিয়ে তাদের জন্ম নিবন্ধন কার্ড কয়েক গুণ বেশি টাকা দিয়ে গ্রহণ করতে বাধ্য হন।

দৈনিক ভোলা সময় নিউজ প্রতিবেদক, অত্র ৩ নং চাঁদপুর ইউনিয়নের নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান এ কে এম শহীদুল্যাহ এর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন, তাহার কাছে জানতে চান যে, আপনার ইউনিয়নে আপনি গত ৭-৮ মাস কালীন দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে এই পর্যন্ত কত হাজার জন্ম নিবন্ধন কার্ড হয়েছে, উনি প্রতিবেদককে জানান যে আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার জন্ম নিবন্ধন কার্ড করা হয়েছে। যাহা গড়ে দৈনিক ১০০-১৫০ কোন কোন দিনে ২০০ হয়েছে।
উনি বলেন আমার সচিব উনি অফিসে এবং তাহার বাসায় বসে এই জন্ম নিবন্ধন এর কাজ করে থাকেন। উনার কাছে জানতে চাওয়া হয় যে আপনার ইউনিয়নের সচিব জন্ম নিবন্ধন কার্ড করতে জনগণ থেকে কত টাকা নেন?
প্রশ্ন-উত্তরের চেয়ারম্যান সাহেব বলেন সচিব সরকারি ফি নিয়ে থাকেন ৫০ টাকা। তখন চেয়ারম্যান সাহেবকে বলা হয় যে সচিব জনগণ থেকে ১০০-থেকে ১৫০ টাকা নিয়ে থাকেন। তখন চেয়ারম্যান সাহেব বলে এই বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা, তাহলে আপনি সচিব সাহেবকে জিজ্ঞাসা করুন উনি বাড়তি টাকা নেন কার আদেশে এবং নিয়েই বা কি করেন। তখন প্রতিবেদক জানতে চান ধরে নিলাম যদি ৩৫০০০ হাজার জন্ম নিবন্ধন গত সাত মাসে হয়ে থাকে তাহলে সচিব সাহেব জনগণ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন যাহার দায়ভার আপনার উপর বর্তায়, তখন চেয়ারম্যান সাহেব বলেন সচিব সরকারি চাকরি করেন সে কেন এই অন্যায় কাজ করেছেন তাহা আপনারা বিষয়টি দেখেন! তখন সচিব সাহেবকে অফিসে না পেয়ে সচিব সাহেবকে তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলে উনি ফোন ধরেননি। বিষয়টি চেয়ারম্যান সাহেব কে আবার অবগত করান এরপর চেয়ারম্যান সাহেব সচিব কে ফোন দিয়ে বলে দেন যে আপনি উক্ত সাংবাদিকের ফোন ধরছেন না কেন? তখন সচিবের কাছে ফোনের মাধ্যমে জানতে চাওয়া হয় যে আপনি জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর অতিরিক্ত টাকা নেন কার আদেশে এবং কেন নেন?
উনি এই বিষয়ে কোন উত্তর দিতে পারেননি উনি বলছেন যে আমি এখন উপজেলা অফিসে আছি, তখন প্রতিবেদক বলে আপনার সামনাসামনি আমার হতে হবে নিউজের প্রয়োজনে, তখন সচিব সাহেব বলেন যে আপনি উপজেলা পরিষদে আসুন, কিন্তু প্রতিবেদক উপজেলা পরিষদে গিয়ে সচিব সাহেবকে খুঁজে না পেয়ে একাধিকবার তার মোবাইলে রিং দিয়েছিলেন কিন্তু সচিব সাহেব তার ফোনটি রিসিভ করেননি। এই বিষয়টি প্রতিবেদক চেয়ারম্যান সাহেবকে এসে আবার অবগত করালেন চেয়ারম্যান সাহেব কোন প্রতিউত্তরে কোনো জবাব দেননি।
জন্ম নিবন্ধন কার্ড এ অতিরিক্ত টাকা নিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিষেধ অমান্য করে এই অত্র ইউনিয়নের সচিব টাকা গ্রহণ করছেন যাহা সরকারি আইন অমান্য করে এই করোনা মহামারী দুর্যোগের সময় মানুষকে তাদের রক্ত পানি করা টাকা আত্মসাৎ করেছেন তাই উক্ত ইউনিয়ন বাসীর আবেদন দ্রুত এই ইউনিয়ন সচিব মোঃ আবদুল করিমকে আইনের মাধ্যমে তাহার বিচারের ব্যবস্থা করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছে।

পূর্ববর্তী খবরদৈনিক ভোলাটাইমস পত্রিকা নবম বর্ষে পদার্পণ,,,
পরবর্তী খবরলালমোহনে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ভোগ দখলীয় জমি দখল করার অভিযোগ।