ঝুপড়ি ঘরে তিন শিশু সন্তান নিয়ে অনাহারে বিধবা সাজু বেগম।

0
11

দৈনিক ভোলা সময় নিউজ।

মোঃ রিপন, দৌলতখান প্রতিনিধিঃ

স্বামীর মৃত্যুর পর তিন সন্তানকে নিয়ে স্বামীর রেখে যাওয়া ঝুপড়ি ঘরে অনাহারে দিন কাটছে বিধবা সাজু বেগমের।সাজু বেগম চরখলিফা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সানু মাস্টার বাড়ির মৃত মোঃ সালাউদ্দিনের স্ত্রী। তিন ছেলে ১.আরিপ (১৩) ২.শরিফ (১০) ৩.সজিব(৬)।

সাজু বেগমের স্বামী সালাউদ্দিন পেশায় একজন রিক্সাচালক ছিলেন।৫ বছর পূর্বে মরনব্যাধী ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। তিনি তার স্ত্রী ও তিনটি মাসুম বাচ্চা রেখে যান। তার স্ত্রী সাজু বেগম বয়স যথেষ্ট কম হওয়া সত্ত্বেও সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে স্বামীর মৃত্যুর পর আর কোন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হননি। তিনটি ছোট বাচ্চা নিয়ে অন্যের বাসায় কাজ করে অনেক কষ্টে দিনযাপন করিতেছেন। বর্তমান লকডাউনে তিনটি বাচ্চা নিয়ে অনাহারে দিন কাটছে। মোঃ সালাউদ্দিনের রেখে যাওয়া ৮/১০ শতাংশ জমির মধ্যে ঘরখানাই তাদের শেষ সম্বল। কিন্তু ঘরটি এতই জরাজীর্ণ যে, গ্রীষ্মকালে কোন রকম থাকা গেলেও বর্ষাকালে থাকার মত অবস্থা নেই। প্রত্যেকটি টিনের ছিদ্র দিয়ে পানি পড়ে। এছাড়া সেখানে কোন বিদ্যুতের ও ব্যবস্থা নেই।

প্রতিবেশি মোঃ রুবেল হোসাইন সহ-সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ জানান,সাজু বেগম তার তিন সন্তান নিয়ে খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।থাকার ঘরটিও বাসযোগ্য নয়।অন্যের বাসায় কাজ করে সন্তানদের নিয়ে কোনোভাবে খেয়ে বেচে আছে কিন্তু লকডাউনে এখন অনাহারে দিন কাটছে।

সাজু বেগম কান্নজড়িত কন্ঠে বলেন স্বামীর মৃত্যুর পর মানুষের বাড়িতে কাজ করে তিনসন্তান নিয়ে কোনোভাবে ভাঙ্গা ঘরে থাকি। অল্প বৃষ্টিতে টিনের ফুটা দিয়ে ঘরের মাঝখানে পানি পরে। শীতে কুয়াশা পরে বাচ্চাদের ঠান্ডাজ্বরে ভোগে।দুবেলা ঠিকমতো খেতে পারু না ঘর ঠিক করবো কিভাবে।একটি বিধবা কার্ডের জন্য মেম্বার আবু মহাজনের কাছে কয়েকবার যাই। তিনি আমাকে বলেন কার্ড করার সময় এলে করে দিবেন কিন্তু এখনো তা করে দেন নি।

এবিষয়ে জানার জন্য ওই ওয়ার্ডের মেম্বার আবু মহাজনের ( ০১৭১৫৫৯৩৩১১)নাম্বরে একাধিক ফোন করে কোনো সাড়া মেলেনি।

পূর্ববর্তী খবরতজুমদ্দিনে শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী পালিত।
পরবর্তী খবরচরফ্যাশনে বঙ্গমাতার জন্মদিন পালন ও সেলাই মেশিন বিতরণ।