ভোলায় অসহায় জাহানারা বেগমের বসতভিটা দখল
ভোলা প্রতিনিধি,ফয়েজুল্লাহ স্বাধীন।
জাহানারা বেগম ভোলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের সুদের হাট হাসু হাওলাদার বাড়ির মৃত বাদশা হাওলাদারের মেয়ে।গত ১৭-১৮ বছর পূর্বে স্বামীর অসুস্থতা নিয়ে চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে যান, তখন স্বামী চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। সেই থেকে এই জাহানারা বেগমের পরিবারের উপরে ঘোর অন্ধকার নেমে আসে, তার উপার্জনের আর কোন ব্যক্তি রইল না।
জাহানারা বেগমেকে দেখার কেহ নেই তার ১জন প্রতিবন্ধী ছেলে ও দুই মেয়ে ছিল তাদের খাওয়া দাওয়া ভরণ পোষণ দিতে গিয়ে জাহানারা বেগম ঢাকাতেই ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ শুরু করেন,সেই জন্যই গত কয়েক বছর সে দেশে আসতে পারিনি। কিন্তু অপরাধী ভূমিদস্যুরা এরমধ্যে তার বসতভিটা সহ তার জায়গা জমি দখল করে নিয়েছেন।
জাহানারা বেগমের অভিযোগ আমি গত ৬-৭ বছর পূর্বেও এসেছিলাম এসে দেখি আমার ঘরবাড়ি কিছুই নেই সব তারা দখল করেছেন। তখন এই বিষয় নিয়ে আমি সবার কাছে অভিযোগ করলে জয়নাল মেকার, মসু, দুলাল, জলিল, সাহেব আলী সহ এরা সবাই মিলে আমাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেন।
আমি একজন অসহায় বয়স্ক মহিলা আমার নাই কোন টাকা পয়সা আমি মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়াই কেউই আমার কোন কর্ণপাত করেন না আমি এই বিষয় দিয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে বলেছি তারাও আমার জায়গা জমি টি ফিরিয়ে দিচ্ছে না। তাই আমি আজ আপনাদের সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানাচ্ছি আমার জমিটা যাতে দ্রুত আমি ফিরে পেতে পারি আপনারা সবাই আমার সেই ব্যবস্থা টুকো করে দেন।
জাহানারা বেগমের এই অভিযোগের বিষয় নিয়ে প্রতিবেদক ঘটনাস্থলে গিয়ে উক্ত বাড়ির বিভিন্ন বয়সের লোকদের কাছে এটাই জানতে পেরেছেন যে জাহানারা বেগম পিতা মৃত বাদশা হাওলাদার এই বাড়িতে পৈতৃক ভিটা ছিল, তার বাবার ভিটায় সেই বসবাস করছিলেন তার বাবাই আনোয়ার গাজীর সাথে বিবাহ দিয়ে বাবার ঘর-ভিটাই রেখেছেন। তবে বাড়ির মুরুব্বিরা যখন তাদের জায়গা জমি বন্টন করছিল তখন জাহানারা বেগমের এই ভিটা থেকে জাহানারা বেগমকে বাড়ির পাশে একটি ঘরভিটা করে সেখানে ঘর তুলে দেন। এখন সেই ভিটাটিও তার অনুপস্থিতে তারা দখল করে নেন।
এই বিষয় নিয়ে প্রতিবেদক পূর্ব ইলিশার চেয়ারম্যান জনাব আনোয়ার হোসেন ছোটনসাহেবের কাছে অভিযোগটি জানালে উনি জাহানারা বেগমকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেন।