দৈনিক ভোলা সময় নিউজ।
এতিম শিশু আব্দুল্লাহ চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন লালমোহনের ইউএনও
মো জাফর ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধি:-
ভোলার লালমোহন উপজেলাস্থ রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের এতিম ছেলে আবি আব্দুল্লাহ। বয়স মাত্র পাঁচ বছর। জম্মের ৪ মাস পর বাবা মারা যায়। কিছুদিন পর মা নতুন করে ভিন্ন সংসার পাতেন।আবি আবদুল্লাহ তার খালা ইয়ানুর বেগমের কাছে বেড়ে ওঠে। তার একজন বড় বোনও আছে।
আশ্রয় দাতা খালা ইয়ানুর বেগম খুবই অসহায়। তিন বেলা খাবার খেয়ে সংসার চালাতেই কষ্ট হয়।এমতাবস্থায় এতিম আবি আব্দুল্লাহর দূর্ভাগ্য বসত খাট থেকে পড়ে ডান হাত ভেঙে যায়। অভাবের কারনে চিকিৎসা করাতে পারছেনা। নিরুপায় হয়ে গ্রামে কবিরাজি অপচিকিৎসা সাহায্য নেয়।
বিষয়টি ঐ এলাকার ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাহিদুর রহমান(সাহিদ মুন্সি)’র দৃষ্টিগোচর হলে তিনি তাৎক্ষণিক সহায়তার জন্য লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আল-নোমান স্যারকে জানান এবং প্রমাণ স্বরুপ ছবি ও ভিডিও করে পাঠান।তিনি বিষয়টি যাচাই বাচাই করে সাহিদুর রহমানকে তার সাথে দেখা করার জন্য বলেন।
পরদিন সাহিদুর রহমান ও তার সহযোগী(ভাই) সাগর ইয়ানুর বেগম ও আবি আব্দুল্লাহকে ইউএনও র কাছে নিয়ে যান। তিনি বিষয়টি দেখে এতিম শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন।চিকিৎসককের সাথে পরামর্শ করে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
সেই সাথে আবি আব্দুল্লাহর জন্য নতুন পোশাক কিনে দেন ইএনও। তার অসহায় খালার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাল/ রেশমের দেয়ার জন্য রমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা স্যারকে সুপারিশ করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) আল-নোমান জানান,অপচিকিৎসার জন্য শিশুটির হাতটি নষ্ট হয়ে যেতে পারতো। আমি তার হাত ঠিক হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসার দায়িত্ব নিলাম। সাহিদুর রহমানকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তার খবর পেয়ে এতিম শিশুটির পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছি।
এসময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন, আবি আব্দুল্লাহর খালা ইয়ানুর বেগম, সাংবাদিক হাসান পিন্টু, সাহিদুর রহমান(সাহিদ মুন্সি), সাগর মুন্সি প্রমূখ।