ইলিশায় মিথ্যা মামলার ষড়যন্ত্রের শিকার ব্যবসায়ি,
ইকবাল হোসেন রাজু,
ভোলায় এক ব্যবসায়ির বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক ছিনতাই মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ফিরোজ ভুলাই। ফিরোজ ভুলাই সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের জংশন বাজারের ব্যবসায়ি এবং ওই ইউনিয়নের কুট্টি ভুলাইর ছেলে।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী ফিরোজ ভুলাই সাংবাদিক জানান, গত দুই মাস ধরে নিজ অসুস্থতা জনিত কারণে ভোলা-বরিশাল ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গত ৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর বাসা থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ভোলা-ইলিশা মহাসড়কের ইলিশা ব্যারিষ্টার কাচারি নামক জায়গায় রাত ১২টার দিকে ঢাকা থেকে আসা লঞ্চযাত্রী রাবেয়া বেগম ও তাঁর মেয়ে কুলসুম বেগম ছিনতাইয়ের শিকার হন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি রাবেয়া বেগম ভোলা জজ কোর্টে ছিনতাইয়ের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন। যাঁর মামলা নম্বর-৮৭/২২।
উক্ত মামলায় ওই ব্যবসায়ি ফিরোজ ভুলাইকে এক নম্বর আসামি করা হয়। এছাড়াও একই এলাকার মো. মহসিন নামে আরেক জনকে দুই নম্বর আসামি উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪ থেকে ৭ ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মিথ্যা ছিনতাই মামলা দায়ের করা হয়।
এরপর গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে মামলার দুই নম্বর আসামি মো. মহসিনকে তাঁর নিজ বাড়ি থেকে মধ্যরাতে আটক করে ভোলা থানা পুলিশ।
মামলা দায়েরর পর সরেজমিন তদন্ত করে জানা গেছে, মামলায় উল্লেখিত স্বাক্ষীরা মামলায় উল্লেখিত আসামিদের সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
এদিকে মামলার এক নম্বর আসামি ফিরোজ ভুলাই জানান, স্থানীয় আলাউদ্দিন নামে ভোলা জজ কোর্টের জজের ড্রাইভার আলাউদ্দিন ওই বাদীদের আত্নীয় হওয়ার কারণে পূর্বে থেকে আলাউদ্দিনের সাথে ফিরোজের পূর্ব শত্রুতা থাকার কারনে আলাউদ্দিন কৌশলে বাদীদেরকে দিয়ে ফিরোজের নামে মিথ্যা ছিনতাইকারী একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে আলাউদ্দিন মামলার কয়েকদিন পর ইলিশা ইউনিয়নের দায়িত্বশীল এক ব্যক্তিকে ফোন দিয়ে জানায়, ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসিকে ফোন দিয়ে আটককৃত মহসিনের বিরুদ্ধে আদালতে রিমান্ড মঞ্জুরের আবেদন করতে এবং ফিরোজকে দ্রুত আটক করতে পুলিশকে অনুরোধ করতে জানায়। বিষয়টি ওই দায়িত্বশীল কর্মকর্তাও নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে আলাউদ্দিন ফিরোজকে আরও হুমকি দিয়ে জানান, ফিরোজের বিরুদ্ধে আরও ১০ থেকে ১২ টি মিথ্যা মামলার দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সে।
এদিকে নিরপরাধ ফিরোজ আলাউদ্দীনের মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে ভোলার প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান এবং আলাউদ্দীনের সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভোলা সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুবীর শাহ, জানান মামলা হওয়ার পর এক নম্বর আসামি আটক করা হয়েছে এবং মামলাটির তদন্ত চলছে।