আজ ১৫ ই ফেব্রুয়ারি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ১৭ নং আসামী শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক এর ৫৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী।

0
14

দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবনদানকারী প্রথম সৈনিক শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক ।
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ১৭নং আসামী শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের ৫৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী।
সার্জেন্ট জহুরুল হক ১৯৩৫ সালের ০৯ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালী জেলার সুধারামপুর থানার সোনাপুর জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পিতার নাম কাজী মজিবুল হক।শহীদ হক ১৯৫৩ সালে নোয়াখালী জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে। ১৯৫৬ সালে জগন্নাথ কলেজের (বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) বাণিজ্য শাখা থেকে ইন্টার পাশ করেন।
ইন্টার পাস করার পরে ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে বিমান সেনা হিসেবে যোগদান করেন। ট্রেনিং কমপ্লিট করার পরে কোহাটে তাঁর পোস্টিং হয়। ১৯৬৫-৬৮ সালে তিনি ট্রেনিং ইন্সষ্ট্রাকটার হিসেবে করাচীতে অত্তান্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৫৯ সাল এবং এর পরবতি’ ততকালিন রাজনৈতিক পরিক্রমার আলোকে তৎকালীন পাকিস্তান সশস্র বাহিনীতে কম’রত অনেক সৈনিক যারা ছিলেন সুশিক্ষিত তারা তখন থেকেই একটি স্বাধীন দেশের ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা শুরু করে দিয়েছিল।তারা ভাবত যে এই রকম একটা সিচুয়েশনে তাদের ভূমিকা কি হবে এবং সে ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা এবং তাদের করনিয় কি হবে সেটার ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসার চেস্টা করে যাচ্ছিল।
ঠিক এই রকম একটা মূহুতে’ ১৯৬৭ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি এবং তার মত সেনা এবং নৌ বাহিনীর ২৬ কম’কতা’ এবং সাধারন সৈনিককে গ্রেপ্তার করা হয় সেনা নৌ এবং বিমান বাহিনী এক্টে।মজার বিষয় হল এই ২৬ জনের অধিকাংশই ছিলেন সাধারন সৈনিক যারা তখন থেকেই বিপ্লবের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের ব্যাপারে পরিকল্পনা করেছিল।২০১১ সালে এই মামলার অন্যতম আসামী ক্যাপ্টেন অবঃ এ শওকত আলী তার প্রকাশীত স্বরচিত গ্রন্থে বলেছেন এই মামলাটি একটি সত্য মামলা ছিল কেননা আমরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পকিল্পনা করেছিলাম।

যাই হোক তখন সরকারীভাবে জানানো হয়, ১৯৬৭ সালের ডিসেম্বরে অভিযুক্তরা ভারতীয় অর্থ ও অস্ত্রের সাহায্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ ঘটিয়ে কেন্দ্র থেকে পূর্ব পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিল।

এর পরে একই অভিযোগে ১৯৬৮ সালের ১৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালের ৯ই মে থেকে অন্য একটি নিরাপত্তা মামলায় জেলে ছিলেন।পরে ১৯৬৮ সালের ১৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু এবং অন্যান্যদের জেল থেকে মুক্তি দিয়ে সামরিক আইনে পুনরায় গ্রেফতার করে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সামরিক হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে প্রথমে কোর্ট মার্শাল করার সিদ্ধান্ত নিলেও সরকার সত্তর সালের সাধারণ নির্বাচনের কথা মনে রেখে পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও উচ্চপদস্থ বাঙালি অফিসারদের বেসামরিক আইনে অভিযুক্ত করে।বঙ্গবন্ধুকে প্রধান আসামি করে সর্বমোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকার “রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্যদের বিচার” নামে একটি মামলা দায়ের করে, যা ঐতিহাসিকভাবে”আগরতলা ষড়যন্ত্র” মামলা নামে পরিচিত।তন্মধ্যে – ১নং আসামী হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানকে রাখা হয়। সার্জেন্ট জহুরুল হককে ১৭নং আসামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। প্রথমে আসামীদেরকে ‘দেশরক্ষা আইন’ থেকে মুক্তি দেয়া হয়। পরবর্তীতে ‘আর্মি, নেভি অ্যান্ড এয়ারফোর্স অ্যাক্টে’ সার্জেন্ট জহুরুল হক-সহ অন্যান্য আসামীকে পুণরায় গ্রেফতার করে সেন্ট্রাল জেল থেকে কুর্মিটোলা সেনানিবাসে স্থানান্তর করা হয়।

১৯৬৮ সালের ১৯ জুন মামলাটির শুনানি কার্যক্রম শুরু হয়। । ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে অবস্থিত ‘সিগন্যাল অফিসার মেসকে’ মামলার শুনানির স্থান হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। ১৯৬৯ সালের ০৬ ফেব্রুয়ারি ছিল মামলার শেষ তারিখ।

এদিকে সারা বাঙলায় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাকে কেন্দ্র করে গণআন্দোলন শুরু হয়, ঐতিহাসিকভাবে যা আমাদের কাছে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান বলে পরিচিত। বাঙালি জনতার দাবি ছিল একটাই, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্যদের মুক্তি প্রদান।

এই লক্ষ্যে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ১৯৬৯ সালের ০৪ জানুয়ারি ঐতিহাসিক ১১ দফা কর্মসূচী পেশ করে। ৭ ও ৮ জানুয়ারি, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে রাজনৈতিক ঐক্য ডেমোক্রেটিক অ্যাকশন কমিটি গঠন করা হয়। ২০ জানুয়ারি, ছাত্রদের মিছিলে গুলিবর্ষণের ঘটনায় নিহত হন ছাত্র আমানুল্লাহ আসাদুজ্জামান। ২৪ জানুয়ারি, পুলিশের গুলিতে নিহত হন কিশোর ছাত্র মতিয়ুর রহমান।

এসব ঘটনায় ফুঁসে উঠে সারা বাঙলা।
তুমুল আন্দোলনে কাঁপছিল আইয়ুব খানের মসনদ…

এরপর আসে সেই কালোদিন…

১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯।
কুর্মিটোলা ক্যান্টনম্যান্ট, ঢাকা।

মূলত ক্যান্টনমেন্টে বন্দী অবস্থায় অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হতো ষড়যন্ত্র মামলার আসামিদের সঙ্গে। নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হতো তাদের। সে অবস্থায় যেটুকু না খেলেই নয়, রাজবন্দীরা ততটুকু মুখে তুলতেন। বাকি খাবার কাঁটাতারের বেড়ার অপর প্রান্তে অপেক্ষারত অভুক্ত শিশুদের মধ্যে বিতরণ করে দিতেন তারা। কিন্তু তাও মেনে নিতে পারত না পাকিস্তানীরা।
সেদিন সন্ধ্যায় ক্যান্টনম্যান্টে সৈনিকদের খাবারের উচ্ছিষ্ট সংগ্রহের জন্য বাঙালি শিশুরা ভিড় করে। এতে অবাঙালি সৈনিকেরা কয়েকজন অভুক্ত শিশুকে ধরে এনে বন্দী শিবিরের সামনে অমানবিকভাবে প্রহার শুরু করে। কয়েকজন বন্দী এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানালে অবাঙালি হাবিলদার মনজুর শাহ বন্দীদের নিজ নিজ কামরায় ফিরে যেতে বলে। এসময় সার্জেন্ট জহুরুল হক হাবিলদার মনজুর শাহকে বলেন যে, তাঁরা বাঙালি বাচ্চাদের উপর নির্যাতন বন্ধ না করলে তিনি কামরায় যাবেন না। এই কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে হাবিলদার মনজুর শাহ রাইফেলে বেয়োনেট লাগিয়ে সার্জেন্টের দিকে ধেঁয়ে আসে। কিন্তু সার্জেন্ট জহুরুল হক দ্রুত পাশ কাটিয়ে মনজুরের হাত থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং নিজের কামরার দরজায় গিয়ে তাকে রাইফেল ফেরত দেন।
এ ঘটনা সম্পর্কে শহীদ সার্জেন্টের ভ্রাতুস্পুত্রী মিমি লিখেছেন, ‘মঞ্জুর শাহ ক্ষিপ্ত হয়ে বাচ্চাদের লাথি মারা শুরু করে। জহুর মুহূর্তের মধ্যে উঠে দাঁড়ান এবং অতর্কিতে মঞ্জুর শাহ’র ওপর ঝাঁপ দিয়ে তার রাইফেলটা কেড়ে নেন। মঞ্জুর শাহ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। …জহুর বলে ওঠে চাইলে আমরা খালি হাতে এই ক্যান্টনমেন্ট দখল করতে পারি। এই কথা বলার পর জহুর সবলে রাইফেলটি মঞ্জুর শাহ’র দিকে ছুঁড়ে দেন।’ এবং পরদিন সে অস্ত্রের গুলিতেই বিদ্ধ হন জহুরুল। মিমি লিখেন, ‘(পাকিস্তানী বর্বররা) রাইফেল খাড়া করে জহুরের গুলিবিদ্ধ পেটের ওপর উঠে দাঁড়াল। রাইফেলের মাথার বেয়নেট দিয়ে সরাসরি পেটের মধ্যে আঘাত শুরু করল। বেয়নেটের আঘাতে জহুরের পেটের সমস্ত তন্ত্রী ছিড়ে যাচ্ছে। তবুও বর্বর পাকিস্তানী সৈন্যটি ক্ষান্ত হচ্ছে না। তাকে জুতা দিয়ে মাড়িয়ে যাচ্ছে। বুটের আঘাতে জহুরের কলার বোন ভেঙে গেল…।’

পরদিন।
১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯।

ভোরবেলা সার্জেন্ট জহুরুল হক নিজের কামরা বের হলে মনজুর শাহ তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। সার্জেন্টের পেটে গুলি লাগে। ইচ্ছে করে সময় ক্ষেপন করে পাকিরা তাঁকে সিএমএইচ এ নিয়ে যায়। সেখানে রাত ০৯টা ৫৫ মিনিটে এই মহান দেশপ্রেমিক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তার মৃত্যু বাঙালির গণঅভ্যুত্থানের আগুনকে আরো উসকে দেয়। বাঙালীরা রাস্তায় নেমে আসে।
সার্জেন্ট জহুরুল হককে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করার খবর প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষুদ্ধ জনতা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ও অন্যান্য ভবনে অগ্নিসংযোগ করে। অতিথি ভবনে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এস.এ রহমান ও সরকার পক্ষের প্রধান কৌঁসুলি মঞ্জুর কাদের অবস্থান করতেন। তারা উভয়েই পালিয়ে যান এবং সেখানে মামলার কিছু নথিপত্র পুড়ে যায়। গণআন্দোলনের মুখে শেষ পর্যন্ত আইয়ুব সরকার ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল বন্দিকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়া হয়।
১৮ ফেব্রুয়ারি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মৌন মিছিলে পুলিশের চালানো গুলিতে নিহত হন শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা।

বাঙালির সহ্যের সীমা অতিক্রম হয়।
বাঙালিরা দুমড়ে মুচড়ে দেয় আইয়ুব খানের মসনদ।

প্রচন্ড গনআন্দোলনের মুখে ১৯৬৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে। ১৯৬৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি, আলোচনার জন্য বিরোধী নেতৃবৃন্দের সাথে আইয়ুব খান গোলটেবিল বৈঠক আহবান করে কিন্তু বৈঠক ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে, আইয়ুব খান বাঙালির প্রচন্ড আন্দোলনের মুখে ১৯৬৯ সালের ২৫ মার্চ পদত্যাগ করে।বাঙালি এগিয়ে যায় তার স্বাধীনতা অর্জনের সিঁড়ির চুড়ান্ত ধাপগুলোর একটিতে।

সার্জেন্ট জহুরুল হক স্বাধীনচেতা দেশপ্রেমিক সৈনিক ছিলেন। তার সহকর্মীদের ভাষায়, “ তাঁকে কখনো কাঁদতে দেখা যায়নি। কোনো কারণে কারো কাছে মাথা নত করেননি।” এজন্যে সহকর্মী বন্ধুরা তাকে ‘মার্শাল’ বলে ডাকতেন।তাঁর হৃদয়ে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য ছিল পরম মমতা। ব্যাক্তিজীবনে খুব অমায়িক ছিলেন সার্জেন্ট। খুব ভালো সাঁতারু ছিলেন; বিমান বাহিনীর আন্তঃঘাঁটি সাঁতার প্রতিযোগীতায় বেশ কয়েকবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। খুব ভালো ছবিও আঁকতেন; তাঁর বিখ্যাত যে পোট্রেটটি আমরা দেখি, তা তাঁর নিজেরই আঁকা। ভালো হস্তশিল্পের কাজ করতে পারতেন; জাতীয় জাদুঘর ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে তাঁর বেশ কিছু শিল্পকর্ম নিদর্শন রক্ষিত আছে।

সার্জেন্টের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের আবাসিক হল ইকবাল হলের নাম পরিবর্তন করে ‘সার্জেন্ট জহুরুল হক হল’ নামকরণ করা হয়, ২০১৩ তে নাম সংশোধন করে “শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল” করা হয় এবং বিমান বাহিনীর চট্রগ্রাম ঘাঁটিকে সার্জেন্ট “জহুরুল হক” ঘাঁটি নামকরণ করা হয়।

সার্জেন্ট জহুরুল হকের শহীদ স্মৃতি পূর্ব বাংলায় বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে শাণিত করে তোলার ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এ গণ-আন্দোলনের পথ ধরেই পরবর্তীকালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে। উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের মহানায়কদের একজন সার্জেন্ট জহুরুল হককে স্মরণ করছি গভীর শ্রদ্ধা আর ভালবাসায়!সার্জেন্ট জহুরুল হক স্বাধীনচেতা দেশপ্রেমিক সৈনিক ছিলেন।

বাঙালি-জাতীয়তাবাদের আন্দোলনে সার্জেন্ট জহুরুল হকের নাম চিরকাল জ্বলজ্বল করে ভাস্বর থাকবে।
শহীদ সাজে’ন্ট জহুরুল হকের এই ৫৩ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে এদেশের সকল সৈনিক ভাইদের পক্ষ থেকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
মহান রব দেশপ্রেমিক এই মহান সৈনিককে একজন শহীদানের মযা’দা দান করুন ।আমীন।

পূর্ববর্তী খবরসম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হলেন ভোলার ছেলে ছাত্রনেতা ইমরান হোসেন বাচ্চু।
পরবর্তী খবরভোলায় দুই কেজি গাঁজা সহ ২ মাদক কারবারি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার।